করা যাবে না রেফার, রোগী ভর্তি নিয়ে হয়রানি ঠেকাতে উদ্যোগী রাজ্য
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ সরকারি হাসপাতালের একাংশের অযথা রোগী রেফার করার প্রবণতায় হ্রাস টানতে ও রোগীদের ভর্তি হওয়া নিয়ে হয়রানী কমাতে রাজ্য সরকার উদ্যোগী হচ্ছে। এখন থেকে প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজকে রোগী ভর্তি সংক্রান্ত তথ্য অনলাইনে স্বাস্থ্য দফতরের ওয়েবসাইটে আপলোড করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কোনও রোগীকে রেফার করা হলেও কারণ সহ তা সেখানে উল্লেখ করতে হবে।সমস্ত হাসপাতালের এই সংক্রান্ত তথ্য কেন্দ্রীয় ভাবে সংরক্ষণের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে বলে স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী জানিয়েছেন।ওই পোর্টালের মাধ্যমে হাসপাতালগুলির কাজকর্মের ওপর সরাসরি নজরদারি করা হবে। একই সঙ্গে ভর্তি থাকা রোগীদের চিকিত্সা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যও পোর্টালে আপলো়ড করতে হবে।
হাসপাতালে কতগুলি অ্যাম্বুলেন্স রোগী পরিবহনে কাজ করছে এধরণের পরিকাঠামো গত বিষয়গুলিও হাসপাতালকে স্বাস্থ্য দফতরকে জানাতে হবে।সহকারি সুপার পদমর্যাদার একজন আধিকারিক এই পোর্টাল সংক্রান্ত বিষয়টি দেখাশোনা করবেন। এই নির্দেশ জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর করতে স্বাস্থ্য দফর সমস্ত মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল এবং হাসপাতাল সুপারদের নির্দেশ দিয়েছে।
রাজ্যের বিভিন্ন জেলার হাসপাতালে রোগী রেফারের সংখ্যা নিয়ে চিন্তিত নবান্ন। ইতিমধ্যে জেলাগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে নবান্নের তরফে। কড়া পদক্ষেপের কথাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি স্বাস্থ্য দফতরের তরফে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। সেই রিপোর্টে দেখা যায় রাজ্যের ৫ জেলায় রেফারের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েছে। যা নিয়ে চিন্তিত নবান্ন।
বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়, দুর্যোগ আরও বাড়ার পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের
প্রসঙ্গত গত জুলাই মাসজুড়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সমীক্ষা করে রিপোর্ট তৈরি করে। সেই রিপোর্টে রাজ্যের ৫ জেলায় উদ্বেগজনকভাবে রেফার বেড়েছে বলে উঠে এসেছে। এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে রেফার করার প্রবণতা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে।
নবান্ন সূত্রে খবর, বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলা, মালদা, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও বীরভূম এই পাঁচ জেলায় রোগীদের সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালগুলিতে রোগীকে রেফার করার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি।
নবান্ন সূত্রে খবর, ওই জেলাগুলিতে রেফারের হার উদ্বেগজনক। সেই পরিসংখ্যান যথাক্রমে বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার ক্ষেত্রে ৭.৯১ শতাংশ, মালদা জেলায় ৭.৫৫ শতাংশ,বাঁকুড়া জেলায় ৭.৩৮ শতাংশ, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ৭.২৪ শতাংশ এবং বীরভূম জেলায় ৬.০১ শতাংশ।সূত্রের খবর, ওই জেলাগুলিতে কেন এত রেফার করা হয় রোগীদের তা নিয়ে বিশেষ পর্যালোচনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শীর্ষ মহল থেকে।
পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর,ঝাড়গ্রাম, বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলা ও পুরুলিয়া এই পাঁচ জেলাতে রোগীদের অন্য হাসপাতালে রেফার করার প্রবণতা কম। যা আশার আলো দেখাচ্ছে বলে মনে করছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
পাশাপাশি হাসপাতাল থেকে রোগী উধাও হয়ে যাওয়ার প্রবণতাও উদ্বেগজনক রাজ্যের কয়েকটি জেলায়। মুর্শিদাবাদ, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর দিনাজপুর, নদীয়া, মালদা এই পাঁচ জেলায় হাসপাতাল থেকে রোগীদের নিখোঁজ হবার সংখ্যা রাজ্যের অন্যান্য জেলার থেকে বেশি।