করোনাঃ শহরে চিন্তা বাড়াচ্ছে উপসর্গহীনরাই

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ নোভেল করোনা ভাইরাস শরীরে প্রবেশের পর রোগলক্ষণ ফুটে ওঠা পর্যন্ত সময়কে বলে ‘ইনকিউবিশন পিরিয়ড’। এই নির্দিষ্ট সময়ে শরীরে ভাইরাস বংশবিস্তার করতে থাকে। এই সময়ে সাধারণত রোগের উপসর্গ দেখা যায় না।

অথচ এই নির্দিষ্ট সময়টাতেই মানুষটি সর্বোচ্চ মাত্রায় রোগ ছড়াতে পারে। ‘ইনকিউবিশন পিরিয়ড’-এ আপাত লক্ষণবিহীন এই মানুষগুলিকে বলে ‘অ্যাসিম্পটোমেটিক’।

কলকাতায় ক্রমেই চিন্তা বাড়াচ্ছে উপসর্গহীনরা। প্রায় প্রত্যেক দিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। আক্রান্তের উর্ধ্বসীমার নিরিখে কলকাতাতেই আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক। এরমধ্যে একটা বড় অংশ উপসর্গহীন হওয়ায় বিষয়টি চিন্তার বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

গত সপ্তাহে ফিরহাদ হাকিমের ওয়ার্ডে যে অ্যান্টিজেন টেস্ট হয়েছিল, তাতে ১০০ জনের মধ্যে ১৯ জনের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এর মধ্যে ১৬ জনই উপসর্গহীন। এর থেকে বলায় যায়, শহরে উপসর্গহীন রোগীদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।

সাধারণত করোনার ইনকিউবিশন এক থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত হতে পারে। এর মধ্যে প্রথম আড়াই থেকে তিনদিন ভাইরাসটি সবচেয়ে বেশি সংক্রামক। এমন বহু আপাত উপসর্গহীন মানুষের পরীক্ষা করালে পরে করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসছে।

নিম্নচাপের জেরে বুধবারও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা

বর্তমানে রাজ্য তথা দেশে এইসব উপসর্গহীনরাই করোনা-যুদ্ধের অন্যতম চ্যালেঞ্জ— এমনই দাবি করছেন শহরের নামজাদা চিকিৎসকরা।

কলকাতা পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতীন ঘোষের দাবি, কলকাতায় অন্তত ৭০ শতাংশ করোনা আক্রান্ত উপসর্গহীন।

পুরআধিকারিকদের আরও দাবি,অধিকাংশ ক্ষেত্রে সামান্য উপসর্গ থাকলে মানুষ করোনা পরীক্ষা করাচ্ছেন না। নিজেরাই ওষুধ খেয়ে নিচ্ছেন। কিন্তু কারও পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠলে সামাল দেওয়া মুশকিল হচ্ছে।

এদিকে এদিন কলকাতা পুরসভার করোনা উপদেষ্টা শান্তনু সেনের দাবি, ‘উপসর্গহীনরাই শরীরে করোনার প্রতিরোধক্ষমতা গড়ে তুলবে। যার ফলে ১৫ অগাস্টের পর থেকে ধীরে ধীরে কমবে সংক্রণের হার।’

যদিও সংক্রমনের হার কমার জন্য ১৫ আগস্ট এর পরের সময়কেই কেন বেছে নেওয়া হয়েছে, সে প্রসঙ্গে শান্তনু সেন বলেন, শহরের ২০ শতাংশ মানুষ আক্রান্ত হলে নাগরিকদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবে।

আশা করছি ১৫ আগস্টের মধ্যে এই সংখ্যাটা পার করে যাবে। তাঁর দাবি, ১৫ আগস্টের পর থেকে কলকাতায় করোনা সংক্রমনের হার ধীরে ধীরে কমে যাবে।

সম্পর্কিত পোস্ট