বাস নিয়ে জটিলতা অব্যাহত, মালিকপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ফিরহাদ
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজ্য সরকার শর্তসাপেক্ষে বাস চালানোর অনুমতি দেওয়ার পর সপ্তাহ ঘুরতে চললেও ভাড়া সংক্রান্ত জটিলতার কারণে এখনও রাস্তায় বেসরকারি বাসের দেখা নেই। সোমবার নতুন সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনেও এই জটিলতা কাটার কোন ইঙ্গিত মেলেনি। কাজেই এ দিনও পথে নেমে বাসের জন্য মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হবে তা একপ্রকার নিশ্চিত। জ্বালানির অস্বাভাবিক দামের প্রেক্ষিতে পুরনো ভাড়ায় রাস্তায় বাস নামাতে কোন ভাবেই রাজী নয় বাস মালিক সংগঠন।
এমত অবস্থায় জট কাটাতে সোমবার বাস মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ময়দানে পরিবহণ দফতরের তাঁবুতে বাস মালিকদের সংগঠনগুলির সঙ্গে হবে এই বৈঠক। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক স্বর্ণ কমল সাহার সংগঠন বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট ছাড়া অন্য কোন বাস মালিক সংগঠনের বৈঠকের থাকবে কিনা তা নিয়ে রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সংশয় কাটেনি।
কেননা অধিকাংশ বাস মালিক সংগঠনের দাবি এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ পাননি। সিটি সাবারবান বাস সার্ভিসেস এর টিটু সাহা বলেন, ‘ আমরা বাস নামাচ্ছি না কারণ বাস নামাতে আমরা অপারগ। এখন আমরা সরকারের মুখের দিকে তাকিয়ে আছি।আশা করি ভাড়া নিয়ে কোনো না কোনো ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কারণ তেলের দাম যেখানে পৌঁছেছে ভাড়া না বাড়িয়ে বাস চালানো সম্ভব নয়।’
উল্লেখ্য, প্রায় রোজ বাড়ছে জ্বালানি তেলের দাম। তাই সরকারি ছাড় পাওয়া সত্ত্বেও করোনাকালে অধিকাংশ বাসই রাস্তায় নামেনি। বাসের ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে সরব হয়েছেন মালিকরা। অভিযোগ উঠেছে, অনেক জায়গাতে বাস চালানো হলেও বেশি ভাড়া নেওয়া হয় যাত্রীদের থেকে।
রেশন গ্রাহকদের জন্যে চালু হচ্ছে ‘দুয়ারে আধার নম্বর’ সংযুক্তিকরণ কর্মসূচী
এর আগে করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধের জেরে মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে বাস পরিষেবা বন্ধ ছিল রাজ্যে। তবে সম্প্রতি সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে বাসে ৫০ শতাংশের বেশি যাত্রী নেওয়ায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
এদিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাসের জন্য অপেক্ষা করেও বাস না-পেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ট্যাক্সিতে চড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। সব মিলিয়ে বাস মালিক, চালক, খালসিদের দাবি, যতদিন না সরকার বাসের ভাড়া বৃদ্ধি করছে ততদিন তাঁরা বাস নামাবেন না রাস্তায়। এই অবস্থায় অফিস যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে আসরে নামছে সরকার। তবে দেখার বিষয়, সোমবারের বৈঠকে আদৌ কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসে কি না।