কলকাতায় কন্টেনমেন্ট জোনের সংখ্যা ৩২, বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবে স্বাস্থ্য কর্মীরা
দ্য কোয়ারি ডেস্ক: করোনা নিয়ে আই এম এ গোষ্ঠী সংক্রমণ এর বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে। এই পরিস্থিতিতে কলকাতায় কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ২৪ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২।
তবে এই বাড়তি করোনা প্রভাবিত অঞ্চলে বেশি ভাগ রয়েছে অবসান বা বাড়ি।
দক্ষিণ কলকাতার বেশি ভাগ সংক্রমিত অঞ্চলের মধ্যে অবসানের সংখ্যা বেশি।
গড়ফা রোডে পাশাপাশি দুটি আবাসনে প্রায় একই পরিবারের করোনা আক্রান্ত এর খবর পাওয়া গেছে।
যার ফলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এই দুটি আবাসন। কেউ বাইরে থেকে আবাসনে প্রবেশ করছেন না বা কাউকে বেরোতে ও দেওয়া হচ্ছে না।
আবাসনের বাইরে রয়েছে পুলিশের নজরদারি। ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে এই আবাসন গুলিকে।
অবস্থা একই ডোভার লেন এক বাড়ির বাড়িতে। করোনা আক্রান্ত হয়েছেন একজন। যার ফলে সিল করে দেওয়া হয়েছে সেই বাড়িটিকেও।
এছাড়া চক্রবেরিয়া রোড , শরৎ বোস রোড ও চেতলা রোডেও একটা বাড়িতে সংক্রমণ পাওয়া গেছে। তাই চিন্তা বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
কোভিড সংক্রমণে নিয়ন্ত্রণে কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা এবার থেকে বাড়ি বাড়ি ঘুরে বাসিন্দাদের শরীরের তাপমাত্রা ও শরীরে অক্সিজেনের পরিমানও খতিয়ে দেখবে।
পুরভবনে পুর আধিকারিক ও চিকিৎসকদের সঙ্গে শহরে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকের পর পুরসভার কোভিড বিষয়ক নোডাল অফিসার আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের একথা জানান।
তিনি বলেন, বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যের অবস্থা সম্পর্কিত তথ্য পেতে স্বাস্থ্যকর্মীদের এবার থেকে থার্মাল গানের পাশাপাশি পালস অক্সিমিটারও দিয়ে দেওয়া হবে।
করোনা মোকাবিলায় স্যানিটাইজ করা হচ্ছে কলকাতা পৌরসভা চত্বর।
রাজ্য জুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। শনিবার আরজিকর হাসপাতালে কলকাতা পুরনির্গমের এক স্বাস্থ্য কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন।
করোনাকে রুখতে কলকাতা পুরনির্গম চত্বর রবিবার ছুটির দিনে জীবাণু মুক্ত করতে মিস্ট ক্যানন দিয়ে স্যানিটাইসার করা হয়েছে।
কলকাতাকে করোনা মুক্ত করতে মিস্ট ক্যানন এখন ভরসা।
পাশাপাশি এদিন পুরনির্গমের এক কর্মী জানিয়েছেন, কলকাতায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।