বেসরকারি বাসেই লুকিয়ে বিপদ
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ করোনা মোকাবিলায় বাসে যাত্রী সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হলেও তা মানা হচ্ছে না। বিশেষ করে সমস্ত বেসরকারি বাসেই অফিস টাইমে থাকছে উপচে পড়া ভিড়।
মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। এই অবস্থায় সরকারি বাস প্রতি ট্রিপ শেষে স্যানিটাইজ করা হলেও স্যানিটাইজ করা হচ্ছে না বেসরকারি বাস। এরফলে করোনা আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন সাধারণ মানুষ।
বাস মালিকদের সংগঠন জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘একটি বাস দিনে গড়ে তিনটি ট্রিপে যাত্রী বহন করে। অর্থাৎ যাওয়া আসা মিলিয়ে দিনে ৬ বার যাতায়াত করে একটি বাস। সেই মতো একটি বাস দিনে ৬ বার স্যানিটাইজ করার প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে দৈনিক ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা খরচ রয়েছে। কিন্তু, ডিজেলের মূল্য যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে বাস চালিয়ে জ্বালানি খরচই ঠিকমতো উঠছে না। এই অবস্থায় ঘর থেকে টাকা এনে কোনওভাবেই বাস স্যানিটাইজ করা সম্ভব নয়।’
করোনায় ত্রস্ত গোটা বিশ্বঃ দুর্ভিক্ষের মুখে আফ্রিকার ৫ কোটি মানুষ, উদ্বেগে রাষ্ট্রসঙ্ঘ
এদিকে, বৃহস্পতিবার কনটেইনমেন্ট জোনগুলিতে নতুন করে লক ডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই বেসরকারি বাস কম চলছে শহরের রাস্তায়। আজ শনিবার থেকে বাস আরও কম চলার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি জানান, আনলক ওয়ানে শহরের রাস্তায় দৈনিক ৪০০০ বেসরকারি বাস চলেছে। শুক্রবার তার চেয়ে প্রায় ৫০০ টি বাস কম চলেছে।
তপন বাবু জানান, অনেক বাস কর্মীর বাড়ি উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণায়। লক ডাউনের ফলে তারা সেখান থেকে আসতে পারছেন না। ফলে কর্মীর অভাবে বাস চালানো সম্ভব হচ্ছে না।