করোনার দ্বিতীয় ইনিংস উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ৫ রাজ্য, ২৪ ঘন্টায় দেশ জুড়ে বাড়ল সুস্থতার হার
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিগত এক সপ্তাহ ধরে ভারতের দৈনিক সুস্থতার থেকে ক্রমশ বাড়ছিল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। যার ফলে ফের চিন্তায় পড়তে শুরু করেছিলেন চিকিৎসকেরা। তবে গত ২৪ ঘন্টায় যে চিত্র দেখা গেল তাতে কিছুটা হলেও স্বস্তির আশ্বাস মিলেছে। কমল অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা। বাড়ল দৈনিক সুস্থতার হার।
তবে দেশের পাঁচটি রাজ্যে ক্রমশ বাড়ছে সংক্রমণ। এই তথ্য সামনে আসার পরেই সতর্ক হয়ে গিয়েছ দিল্লি। তালিকায় রয়েছে মহারাষ্ট্র, ছত্রিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, পাঞ্জাব। সূত্রের খবর বুধবারই এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করবে কেন্দ্রীয় সরকার।
ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই পাঁচটি রাজ্য থেকে দিল্লিতে এলে সঙ্গে আনতে হবে কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট।
শুক্রবার মাঝ রাত থেকেই চালু হবে এই নিয়ম। ১৫ ই মার্চ দুপুর পর্যন্ত জারি থাকবে। দিল্লি আসার ৭২ ঘণ্টার আগের রিপোর্টে গ্রাহ্য করা হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
২০ দিনে ‘দিদির দূত’ অ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫ লক্ষ ছাড়াল
একটি রিপোর্টে দেখা গেছে যতজন দেশে করোনা পজিটিভ রয়েছেন তারমধ্যে ৮৬ শতাংশ এই পাঁচ রাজ্যের মানুষ। ইতিমধ্যেই কর্ণাটক তামিলনাড়ু এবং উত্তরাখণ্ডের সরকার এই পাঁচ রাজ্য থেকে আসা মানুষদের কোভিড রিপোর্ট চেয়েছে।
প্রসঙ্গত মহারাষ্ট্র করোনার প্রথম দিন থেকেই উদ্বেগজনক জায়গায় ছিল। মহারাষ্ট্রের শহরতলির মধ্যে নাগপুর,অমরাবতী, নাসিক, আকোলা এলাকায় বাড়ছে সংক্রমণ। নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ধর্মীয় এবং সামাজিক অনুষ্ঠানে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অতিমারীর দ্বিতীয়বার আসছে। ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও দেখা যাচ্ছে বিনা স্যানিটাইজার এবং মাস্ক ছাড়াই পথে ঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন আমজনতা আরও বিপজ্জনক হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, বিষয়টি অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৪ হাজার ৩৭ জন। এই মুহূর্তে ভারতে মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ কোটি ৭ লাখ ২৬ হাজার ৭০২ জন।
এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিন পেয়েছেন ১ কোটি ২১ লাখ ৬৫ হাজার ৫৯৮ জন। গত ২৪ ঘন্টায় ৪ লাখ কুড়ি হাজার ৪৬ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে।