লোকসানের চাপে অনশনের পথে হাঁটতে পারে বেসরকারি বাস মালিকরা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দেশ জুড়ে আনলকের প্রক্রিয়া শুরু রাস্তায় ভিড় নেই মানুষের। রাস্তায় সরকারি বেসরকারি বাস, ট্রাম, ট্যাক্সি, অটো থাকলেও তাতে লোকসংখ্যা হাতে গোনা।
খালি অফিস টাইমে বাসে কিছুটা ভিড় হচ্ছে। তাও সেই ভিড় হচ্ছে প্রয়োজনের তুলনায় বাস কম থাকায়। বাকি সময় কিন্তু হাতে গোনা কয়েকজন মানুষকে নিয়েই বাসগুলিকে দৌড়তে হচ্ছে গন্তব্যের পথে। তা সে সরকারি বাস হোক বা বেসরকারি।
যাত্রীর এই অভাব, বলেই দিচ্ছে সংক্রমণের ভয়ে মানুষ খুব চট করে খুব প্রয়োজন না পড়লে বাড়ি থেকে বার হতেই চাইছেন না। আর তাই মিটছে না যাত্রীর অভাবও। এদিকে ক্রমেই বেড়ে চলেছে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম।
আর এই অবস্থায় বিপাকে পড়ে একাধিক বেসরকারি বাস সংগঠন ধর্মঘটের কথা ভাবছে। পরিস্থিতি এইটাই শোচনীয় যে তাঁরা অনশন আন্দোলনও শুরু করার কথাও ভাবছেন।
বেসরকারি বাস মালিকদের সংগঠন জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, করোনা পরিস্থিতিতে বাস যাত্রীর সংখ্যা তুলনামূলক অনেকটই কম। অথচ বেড়েই চলেছে পেট্রলের দাম। এমন অবস্থায় ভাড়া বৃদ্ধি না করে আর লোকসান বহন করা অসম্ভব। জ্বালানির খরচ টানতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অথচ আয় কমছে দিন দিন। এই অবস্থায় বাস চালানোই কার্যত অসম্ভব।
সেপ্টেম্বরেই কী বিধানসভা অধিবেশন! ভাবনা চিন্তা শুরু
তাঁর কথায়,এই বিষয়ে রাজ্য সরকার ও রাজ্যপালকে একাধিকবার চিঠি দিয়ে ভাড়া বাড়াবার আর্জি জানিয়েও কিছু লাভ হয়নি। তাই এবার নিজেদের আন্দোলনকে তীব্রতর করার জন্য অনশন আন্দোলনের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি রাজ্যপাল মারফত কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রকের কাছে ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার জন্যও আমরা আর্জি জানাছি।
তিনি আরও জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে রাজ্যজুড়ে অনশন আন্দোলন শুরু করবেন তাঁরা। তবে তার আগে জেলার সদস্যদের মতামতও নেবেন তাঁরা। সেই মতামত নিয়েই অনশন আন্দোলনের কথা ঘোষণা করা হবে।
কলকাতায় মেট্রো চ্যানেলে এই অনশন শুরু হবে। জেলায় জেলায় জেলাশাসকদের কার্যালয়ের সামনে শুরু হবে অনশন আন্দোলন।
তাতেই যদি কাজ না হয়, যদি ভাড়া না বাড়ানো হয় তাহলে অক্টোবর মাস থেকে টানা ধর্মঘটের পথে যেতে পারে বাস মালিকরা।