জল্পনার অবসান, কংগ্রেসে যোগদান জিগনেশ কানহাইয়ার
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক: সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে কংগ্রেসে যোগদান করলেন জেএনইউয়ের প্রাক্তন ছাত্রনেতা এবং সিপিআই নেতা কানহাইয়া কুমার।
একইসঙ্গে যোগদান করলেন গুজরাতের কংগ্রেস সমর্থিত নির্দল বিধায়ক জিগনেশ মেওয়ানি। এদিন রাহুল গান্ধীর উপস্থিতিতে দিল্লির ২৪ নম্বর আকবর রোডের কংগ্রেস ভবনে গিয়ে যোগদান করেন তাঁরা৷
প্রথমে শোনা গিয়েছিল গান্ধী জয়ন্তিতে রাহুল গান্ধীর হাত ধরে কংগ্রেসে যোগদান করবেন দুই নেতা। পরে ঠিক শহীদ ভগত সিংয়ের জন্ম তিথিতে কংগ্রেসে যোগদান করবেন দুই নেতা।
আগামী বছরেই উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন। ঠিক তার আগে কানহাইয়াকে দলে এনে বিহার লাগোয়া সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে প্রচারে জোর দিতে চাইছে কংগ্রেস।
শোনা যাচ্ছে বালিয়া, গোরক্ষপুর সহ একাধিক এলাকায় প্রচারের দায়িত্ব পেতে পারেন তিনি। সূত্রের খবর, কংগ্রেসে যোগদানের আগে রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরার সঙ্গে কানহাইয়া একাধিক বৈঠক সেরে ফেলেছেন।
অন্যদিকে, গুজরাত কংগ্রেসের গুরুদায়িত্ব পেতে চলেছেন জিগনেশ। আগামী দিনে গুজরাতে দলিত ভোটের দিকে তাকিয়ে জিগনেশ মেওয়ানি কংগ্রেসের বড় অস্ত্র হতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
কংগ্রেসে যোগদানের পর কানহাইয়া বলেন, এটি শুধুমাত্র দল নয়। কংগ্রেস একটি আদর্শও বটে। এটা দেশের সবচেয়ে পুরাতন এবং গণতান্ত্রিক একটি দল। শুধুমাত্র আমি নয়, দেশের অনেকেই মনে করেন কংগ্রেসের প্রয়োজন রয়েছে। কংগ্রেস একটি বৃহৎ জাহাজের মতো। কংগ্রেস বাঁচলে দেশে গান্ধীজি, আম্বেদকর এবং ভগত সিংয়ের আদর্শ বাঁচবে।
এর আগে রাজনৈতিক জীবনে জেএনইউয়ের ছাত্র পরিষদের সভাপতি ছিলেন কানহাইয়া। দেশ বিরোধি স্লোগানের জন্য কারাগারে থাকতে হয়েছিল৷ পরে সিপিআইয়ের টিকিটে বেগুসরাই থেকে প্রার্থী হন তিনি। কিন্তু গিরিরাজ সিংয়ের কাছে পরাজিত হতে হয়েছিল তরুণ আইকনকে।
অন্যদিকে কংগ্রেস সমর্থিত নির্দলের বিধায়ক জিগনেশ মেওয়ানিও আজ যোগদান করলেন৷ আগামী দিনে গুজরাত কংগ্রেসের গুরুদায়িত্ব পেতে চলেছেন তিনি।
তিনি বলেন, আমি বেশ কিছু কারণে এতদিন কংগ্রেসে যোগদান করতে পারিনি। আসলে আমি মতাদর্শ মেনে চলি৷ আগামী দিনে আমি কংগ্রেসের চিহ্নতেই লড়তে চলেছি৷ ভারতের গণতন্ত্র রক্ষার্থে আমাকে কংগ্রেসের হয়ে লড়তেই হবে। যে দল স্বাধীনতার জন্য ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে প্রাণপন লড়াই করে গেছে৷