ত্রিপুরায় বিজেপি বিরোধী তৃণমূল নাটকের চিত্রনাট্য তৈরি হয়েছে নাগপুরে: বিকাশ ভট্টাচার্য
দ্য কোয়ারি ডেস্ক: বাম জমানায় ত্রিপুরার অ্যাডভোকেট জেনারেল ছিলেন, এখন পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের ফেসবুক পোস্ট নিয়ে শোরগোল। ত্রিপুরার সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিকাশবাবু লিখেছেন, টিএমসির এই নাটকের চিত্রনাট্য নাগপুরে তৈরি হয়েছে।
বিকাশবাবুর এই ফেসবুক পোস্ট এমন সময়, যখন ত্রিপুরায় টিএমসি যুব নেতাদের উপর হামলা ও তাদের গ্রেফতারি ঘিরে সে রাজ্য ও পশ্চিমবঙ্গ উত্তপ্ত। দলের যুব নেতাদের ছাড়াতে ত্রিপুরা গিয়েছেন টিএমসি সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, নেত্রী দোলা সেন সহ আরও কয়েকজন। শনিবার ত্রিপুরায় আক্রান্ত হন টিএমসি পশ্চিমবঙ্গের যুব নেতা নেত্রীরা। তাদের পরে গ্রেফতার করে খোয়াই থানার পুলিশ। রবিবার থানায় গিয়ে পুলিশের সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন কুনাল ঘোষ, দোলা সেন সহ বাকি নেতা নেত্রীরা। ঘটনায় রাজনৈতিক মহল তপ্ত।
টিএমসির ত্রিপুরায় রাজনৈতিক পদক্ষেপকে সিপিআইএম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য নাগপুরের তৈরি চিত্রনাট্য বলে কটাক্ষ করেছেন। নাগপুরে আরএসএসের সদর দফতর। মনে করা হচ্ছে, সংঘ পরিবারের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংযোগকে কটাক্ষ করেছেন বিকাশবাবু।
বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য লিখেছেন, -” ত্রিপুরায়, তৃণমূল দলের কোন অস্তিত্ব নেই। কংগ্রেসছুট কিছুলোক একটা দল গড়ার চেষ্টা করেছিল। লক্ষ্য ছিল সিপিএম তথা বাম বিরোধীতা। বিগত বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেই গোটা দলটাই বিজেপি হয়ে যায়। একটিও লোক ছিল না, আজও নেই দিদির মুখ পরিচিত করার জন্য। নির্বাচনে হেরে গেলেও বিজেপি বিরোধী লড়াই করছে সিপিএম। #দেশের_কথার প্রকাশনা বন্ধকরে দেওয়া হল। #বাদল_চৌধুরী কে গ্রেপ্তার করে হেনস্তা করা হল। নির্বিচারে, তৃণমূলি কায়দায় সিপিএম অফিস দখল নেওয়া ও ভেঙ্গে ফেলা হল। তৃণমূলি কায়দায় পঞ্চায়েত দখল করা হল। কখনও ঐ সব পরিকল্পিত গুন্ডামির বিরুদ্ধে সর্বভারতীয় তৃণমূল ও সর্ব ভারতীয় দিদি টু শব্দটিও করেন নি। সিপিএম কর্মীরাই রুখে দাঁড়িয়ে ফ্যসিবাদীয় আক্রমণ প্রতিহত করেছে। মানুষ প্রতিরোধের পথে পা বাড়িয়েছে। ঠিক এই সময় এ রাজ্য থেকে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে সাজানো নেতারা ত্রিপুরা ভ্রমন করছে। এবং বিক্রিত প্রচার মাধ্যমের সহযোগিতায় বিজেপি বিরোধীতার নাটক করছে। ঐ নাটকের চিত্রনাট্য তৈরী হয়েছে #নাগপুরে।
1.এতটাকা আসছে কোথা থেকে?
2.সারদা, নারদা, কয়লা পাচার, গরু পাচারের অপরাধীরা এখনও বুক ফুলিয়ে কি করে ঘুরে বেড়াচ্ছে?
3.সিবিআই সহ অন্য তদন্তকারী সংস্থার হাত পা কে বেঁধে রাখছে?
প্রশ্নগুলি সহজ। উত্তরও তো জানা। ত্রিপুরা বাসী দের কাছে অনুরোধ, ভাইবোনের রোজকার ঝগড়ায় বিভ্রান্ত হয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনবেন না।”