পাঁচ রাজ্যে পড়তে পারে ঘুর্ণিঝড় তৌকতের প্রভাব
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ একা করোনায় রক্ষে নেই আবার ঘুর্ণিঝড় দোসর। আগামী ১২ ঘন্টার মধ্যে গুজরাট সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক রাজ্যের উপকুলে আছড়ে পড়তে চলেছে সাইক্লোন তৌকত। গুজরাত এবং দিউ উপত্যকায় জারি সতর্কতা।
আগামী ১২ ঘুর্ণিঝড় আরও শক্তিশালী হয়ে পোরবন্দর এবং নালিয়া উপকুলে আছড়ে পড়তে চলেছে। শুধুমাত্র গুজরাত নয়, দক্ষিণ-পশ্চিম ভারতের উপকুলবর্তী পাঁচ রাজ্য, কেরল, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, গুজরাত এবং মহারাষ্ট্রে মোতায়েন করা হয়েছে এনডিআরএফ টিম।
আবহাওয়ার দফতরের খবর অনুযায়ী, কেরলের একাধিক জায়গায় ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। সকাল থেকে কর্ণাটক এবং গোয়ার উপকুলবর্তী এলাকাগুলিতে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে বুধবারের মধ্যে গুজরাতের সৌরাষ্ট্র এবং কচ এলাকায় আছড়ে পড়তে চলেছে ঘুর্ণিঝড়।
করোনা পরিস্থিতির পর ঘুর্ণিঝড় তৌকত মোকাবিলায় রাজ্যগুলি কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
মঙ্গলবার থেকেই মৎস শিকারীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। ঘুর্ণিঝড়ের কারণে তামিলনাড়ু এবং রাজস্থানের একাধিক জায়গায় ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
ঘুর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আগেই বায়ুসেনার তরফে জরুরী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
রাজ্যগুলিকে সাহায্যের জন্য সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। টুইটে এনডিআরএফের সমস্ত তথ্য দিয়েছেন এনডিআরএফ চিফ সত্য প্রধান।
ঝড়ের প্রভাব কেরলে সেরকমভাবে পড়বে না বলে মনে করা হচ্ছে। রবিবার অবধি জেলায় জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তিরুভান্তাপুরমের একাধিক জায়গায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। প্রায় ৩০০ এর অধিক মানুষকে সুরক্ষিত জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সংবাদসংস্থা এএনআইকে তিরুভানান্থাপুরামের জেলা শাসক জানিয়েছেন প্রায় ৩১৮ টি জায়গায় রিলিফ ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে।
ঘুর্ণিঝড় তৌকত নিয়ে শুক্রবার বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধভ ঠাকরে৷ সমস্ত জেলা প্রশাসনকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বিশেষ করে পালঘর, রায়গড়, রত্নগিরি জেলাশাসকদের বাড়তি সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।