বঙ্গ রাজনীতিতে সৌজন্যতার নয়া নজির গড়লেন দিলীপ-রাজীব
সহেলী চক্রবর্তী
রাজ্য রাজনীতিতে শাসক বনাম বিরোধী তরজা নিত্তনৈমিত্তিক ঘটনা। আর সেই তরজাকে ‘হটকেক’ করে জনসমক্ষে তুলে ধরা সংবাদমাধ্যমের ধারাও অব্যাহত।
বিগত কয়েকবছরে বঙ্গ রাজনীতিতে একে অপরের ভাষার প্রয়োগ বঙ্গসংস্কৃতিকে তলানিতে নিয়ে গিয়ে দাঁড় করিয়েছে। শাসক-বিরোধীদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন খোদ বঙ্গবাসীরাই।
তবে হ্যাঁ, তর্ক-বিতর্কের মাঝেও সৌজন্যের দৃষ্টান্তও অমিল না। রাজনৈতিক কাদা ছোঁড়াছুড়ি পিছনে ফেলে এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে একাধিকবার জায়গা দখল করে নিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তেমনি স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতেই কয়েকদিন আগেই তিনি বেঁফাস মন্তব্য করেন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। রাজনীতির উর্দ্ধে উঠে সরাসরি ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বসেন তিনি।
বিধানসভার প্রচারে ফ্রন্টফুটে ব্যাট করলেন অমিত শাহ
দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের পরই তৃণমূলের তরফে শুরু হয় কড়া সমালোচনা। দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে সরব হন খোদ বনমন্ত্রীও।
তিনি বলেন, রাজনীতিতে নীতি এবং নৈতিকতা দুই থাকে। বিরোধীতা থাকবেই। চলবে নীতিগত লড়াইও। নীতি-নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে ব্যক্তিগত আক্রমন মেনে কখনই মেনে নেওয়া যায় না।
দিলীপ ঘোষকে রীতিমত চ্যালেঞ্জ করে তিনি বলেন কোথাও “তাঁর বিরুদ্ধে করা অভিযোগ তথ্য দিয়ে প্রমাণ করতে হবে দিলীপ বাবুকে। অন্যথায় আপনার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করব।”
সম্প্রতি আমরা এই বিষয়েই কথা বলেছিলাম রাজীব বাবুর সঙ্গে। তিনি বলেন, “দিলীপ বাবু ব্যক্তিগত ভাবে আমাকে ফোন করেছিলেন। দিলীপ ঘোষ এই মন্তব্যের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন। সংবাদমাধ্যমে দিলীপ বাবুর মন্তব্য অতিরঞ্জিত করে প্রকাশিত হয়েছে।”
রাজীব বাবু আরও বলেন, “দিলীপ ঘোষ যে সৌজন্যতা দেখিয়েছেন তাতে আমি খুশি। মতপার্থক্য থাকতেই পারে তবে তা ব্যক্তিগত ভাবে টেনে নিয়ে যাওয়া উচিৎ না। আমরা দুজনেই বিষয়টা তখনই মিটিয়ে নিয়েছি।”
রাজীব-দিলীপের এই সৌজন্যতা বঙ্গরাজনীতিতে নয়া নজির গড়েছে তা স্পষ্ট। যে সৌজন্যতা তাঁরা দেখালেন, বাকীরা কী আদৌ সেই পথে হাঁটবেন, প্রশ্ন থেকেই গেল। অপেক্ষা সময়ের…