মহামারী কাটিয়ে কেন্দ্রের বাজেটে প্রত্যাশা- ‘চাহিদা পূরণের’
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ করোনা আবহে অর্থনীতির দুর্দশা থেকে কাটিয়ে উঠতে কী পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্র সরকারের? আগামী সোমবার মোদি সরকারের বাজেটে কোন বিষয়গুলিকে সামনে রাখবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন? তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
কোভিডের জেরে ব্যবসা বানিজ্যে যে সংকোচন হয়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে কি পরিকল্পনা নেবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী? প্রায় অর্ধেক শতাংশ শিল্প ক্ষেত্রের আধিকারিকরা দাবী করছেন আগামী বাজেট দেশের ব্যবসাকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করবে। কিন্তু অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে নির্মলা সীতারামনের তৃতীয় বাজেটে আশা রাখছেন না অনেকেই।
যদিও ডিসেম্বরের সিআইআই এর বৈঠকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছিলেন, মহামারীর পর এধরনের বাজেট গত ১০০ বছরে ভারত দেখেনি। কিন্তু করোনাকালে লকডাউনের কারণে বহু মানুষ চাকরী হারিয়েছেন। বেছে নিতে হয়েছে মনরেগার অন্তর্ভুক্ত স্বল্পমেয়াদী কিছু কাজকে।
অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, সারা দেশে পরিবহণ ব্যবস্থা এখনও পুরোপুরিভাবে চালু হয়নি। সেইসঙ্গে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ দুর হয়নি।
২৭ জানুয়ারি থেকেই কল্যাণীর এইমসে আউটডোর পরিষেবা চালু হচ্ছে
যদিও গত সপ্তাহে প্রথমবার ৫০ হাজার পেরিয়ে ইতিহাস গরেছিল সেনসেক্স। বেশীক্ষণ টিকতে পারেনি। সংশোধনের পরে আবার নীচে নামতে হয়। শুক্রবার ৭৪৬ পয়েন্ত হারিয়ে সুচক এখন ৪৮,৮৭৮ এ। দুই দিনে পতন হয়েছে ৯১৩।
করোনার মধ্যে অর্থনীতিকে টেনে তুলতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র সরকার এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সঙ্কুচিত এবং দুর্দশাগ্রস্ত টেনে তুলতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাজারে চাহিদা বাড়ানোর দিকে বিন্দুমাত্র নজর সরকারের পক্ষ থেকে দেখা যায়নি।
এবারের বাজেটে সেই কাজের দাবী জানালো ভারতীয় অর্থনীতির মূল্যায়ন সংস্থা ইন্ডিয়া রেটিং অ্যান্ড রিসার্চ। নাহলে আগামী দিনে ভারতের অর্থনীতি একেবারে তলানিতে ঠেকতে পারে বলে জানিয়েছে ওই সংস্থা।
তবে করোনাকালে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের নতুন সিস্টেম তথ্য প্রযুক্তি বিভাগে বিনিয়োগ বাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিপুল কর্মী নিয়োগ হতে পারে টিসিএস, ইনফোসিস, এইচসিএল এবং উইপ্রোতে।