প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে থালা বাজিয়ে প্রতিবাদ জানালেন কৃষকরা

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ  তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে ক্রমশ বৃহত্তর হচ্ছে আন্দোলন। সরকার কৃষকদের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামলেন কৃষকরা। রবিবার প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান চলাকালীন থালা বাজিয়ে কৃষি আইনের বিরোধিতা করলেন দিল্লি সীমান্তে আন্দোলনকারী কৃষকরা।

এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান চলাকালীন দিল্লির সিঙ্ঘু, ফারিদকোট এবং রোহতক সীমান্তে থালা বাজিয়ে প্রতিবাদ করেন কৃষকরা। এদিন কৃষকরা বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ অনেক শুনেছি। তিনি কখন আমাদের ‘মন কি বাত’ শুনবেন? তাই আমাদের কান অবধি যাতে না প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ পৌঁছায় তাই থালা বাজিয়ে প্রতিবাদ করছি আমরা।

যদিও কৃষকদের তরফে অনেক আগেই এই কর্মসুচীর কথা জানিয়েছিলেন কৃষক আন্দোলনের অন্যতম নেতা তথা স্বরাজ ভারত প্রধান যোগেন্দ্র যাদব। এর আগে লকডাউন পর্বে থালা বাজানো এবং হাততালি কর্মসুচীর কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এবার প্রধানমন্ত্রীর কর্মসুচীকেই প্রতিবাদের অংশ হিসাবে বেছে নিলেন কৃষকরা।

আরও পড়ুনঃ কৃষক আন্দোলনের জের, এনডিএ ছাড়ল আরএলপি

রবিবার অবশ্য ‘মন কি বাত’ ভাষণে জনতা কার্ফু, থালি এবং তালি বাজানো এবং করোনা পর্বের স্মৃতিচারণ করেন প্রধানমন্ত্রী। গোটা বিশ্বের কাছে জনতা কার্ফু নজির গড়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে টানা একমাস পার করেছে দিল্লি সীমান্তে কৃষকদের আন্দোলন। গত সেপ্টেম্বরে পাশ হওয়া কৃষক আইনের বিরোধিতায় আন্দোলনে শামিল হয়েছেন দেশের কয়েক লক্ষ কৃষক। আন্দোলনরত অবস্থায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৩ জন কৃষক। মামলা আদালতে গড়ালে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে কমিটি গঠন করে কৃষকদের সমস্যার সমাধানের নির্দেশ দেন।

এর মধ্যে ৫ বার মুখোমুখি বৈঠকে বসেছে কেন্দ্র এবং কৃষক সংগঠনগুলি। কিন্তু কোনও সমাধানসূত্র নের হয়নি। কিছুদিন আগে কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকের কথা জানিয়ে চিঠি পাঠায় কেন্দ্র। আগামী ২৯ নভেম্বর সকাল ১১ টায় কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চেয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি। তবে কৃষি আইন প্রত্যাহারের বিষয়টিকে প্রথমেই প্রাধান্য দিতে হবে। এমনটাই জানানো হয়েছে কৃষকদের তরফে।

সম্পর্কিত পোস্ট