গলল না বরফ, শনিবার ফের কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে কেন্দ্র

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বৃহস্পতিবার দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে টানা আট ঘন্টার বৈঠকে কেন্দ্র এবং কৃষক সংগঠনগুলি। তবুও বরফ গলল না। শনিবার আরও এক দফার বৈঠকে বসতে চলেছে কেন্দ্র এবং কৃষক সংগঠনগুলি। সেদিনের বৈঠকে সিদ্ধান্তে উপনিত হওয়ার আশ্বাস কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমারের।

বৃহস্পতিবার দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে দেশের একাধিক কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সোমপ্রকাশ মিশ্র। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রের কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে সর্বদা প্রস্তুত সরকার। এদিন প্রায় আট ঘন্টার বৈঠকে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী বলেন, কৃষকদের আশঙ্কা যে এপিএমসি খতম করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তা হচ্ছে না। প্রাইভেট মান্ডি এলেও সেগুলিতে বিশেষ নজর রাখা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে আইনে উল্লেখ না থাকলেও এমএসপি ছিল, আছে, থাকবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

 

প্রায় আট ঘন্টা ধরে বৈঠকের পরেও নিজেদের দাবীতে অনড় কৃষক সংগঠনগুলি। তিনটি কৃষি আইন সরকারকে প্রত্যাহার করতে হবে এই দাবীতে অনড় তাঁরা। শনিবার বৈঠকের আগে নিজেদের মধ্যে শুক্রবার বেলা ১১ টায় বৈঠক করবেন সমস্ত কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

আরও পড়ুনঃ জাতীয় সুরক্ষার স্বার্থে সমাধান হোক কৃষক সমস্যা: অমরিন্দর সিং

সূত্রের খবর, কৃষকদের তরফে আইন প্রত্যাহারের কথা বলা হলেও সেই প্রস্তাব মানতে অনড় কেন্দ্র। কিন্তু আলোচনার মাধ্যমে আইনে বেশ কিছু বদল আনতে চায় তাঁরা। সেই প্রসঙ্গে এমএসপি বিষয়ে সরকারের মুখের কথা নয়। লিখিত আশ্বাস চাইছেন কৃষকরা। পরবর্তীকালে আইনে কোনও অসুবিধা থাকলে এসডিএম আদালতে কৃষকরা যেতে পারবেন বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী।

এদিনের বৈঠকে সাফ হয়েছে কেন্দ্রের ওপর কৃষক আন্দোলনের প্রভাব পড়েছে। আমরা আশা করছি আগামী বৈঠকে কেন্দ্র সরকার এই আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হবে। আজাদ কিশান সংঘর্ষ কমিটির সদস্য হরজিন্দ্র সিং টান্ডা।

 

বৃহস্পতিবার বিজ্ঞান ভবনে আট ঘন্টার বৈঠকের মাঝে মধ্যাহ্ন ভোজের সমস্য কেন্দ্রের তরফে ব্যবস্থা করা থাকলেও তা প্রত্যাহার করেন কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। আন্দোলন স্থল থেকে খাবার আসে তাঁদের জন্য।

 

ইতিমধ্যেই কৃষক আন্দোলনের উত্তাপ ছড়িয়েছে সারা দেশে। ইতিমধ্যেই দিল্লি সীমান্তে উপস্থিত হচ্ছেন একাধিক কৃষক সংগঠনের সদস্যরা। এছাড়াও চেন্নাই এবং মহারাষ্ট্রে আন্দোলন শুরু করেছেন কৃষকরা।

বৃহস্পতিবার কৃষক আন্দোলনের জেরে বৃহস্পতিবার নিজের পদ্মবিভুষণ সম্মান ফিরিয়ে দেন পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং আকালী দলের নেতা প্রকাশ সিং বাদল। কৃষকদের সঙ্গে অনাচার হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

ইতিমধ্যেই দিল্লি-মিরাট সিমান্তে আন্দোলনে শামিল রয়েছে কৃষকরা। বন্ধ রয়েছে চিলা বর্ডার। ৯ নং জাতীয় সড়ক সহ একাধিক রাস্তা বন্ধ করে চলছে কৃষকদের আন্দোলন।

সম্পর্কিত পোস্ট