বারাসাত ও মধ্যমগ্রামে রেশন দোকানে সারপ্রাইজ ভিজিটে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রেশনের সামগ্রী নিয়ে বিস্তর অভিযোগ ওঠার পরই সরেজমিনে তা খতিয়ে দেখতে এবার মাঠে নামলেন খোদ রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। একেবারে ‘সারপ্রাইজ ভিজিট’ করলেন রেশন দোকানে গিয়ে। যাচাই করলেন হয় রেশনের চাল ও আটার গুনগুত মান। এমনকি কথাও বলেন গ্রাহকদের সঙ্গে।
রেশন সামগ্রীর গুনগত মান যাচাই করে সন্তোষ প্রকাশ করেন খোদ খাদ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে,রেশনের চাল ও আটার গুনগুত মান নিয়ে কোনওরকম আপোষ করা হবেনা বলেও ডিলারদের হুঁশিয়ারি দেন তিনি। জানা গেছে,আজ সকালে জেলাসদর বারাসতের ৪ টি ও মধ্যমগ্রামের ১টি রেশন দোকানে আচমকাই হানা দেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
ফলে কিছুটা অপ্রস্তুতিতেই পড়ে যান রেশন ডিলাররা। তাদের সামনেই রেশনের চাল ও আটার গুনগুন মান খতিয়ে দেখা হয়।পরে,তা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন খাদ্যমন্ত্রী।
লকডাউনে সাধারন মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিতে ইতিমধ্যে রেশন ব্যবস্থা সচলের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশে ইতিমধ্যেই রাজ্যের খাদ্য দপ্তর গরিব নিম্নবিত্ত মানুষের কাছে পরিবারপিছু ৫ কেজি চাল ও আটা পৌঁছে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আর তা তুলে দেওয়া হচ্ছে রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে।
লকডাউনের প্রথম এক মাসেই ৮৪ শতাংশ ভারতীয়ের আয় কমেছে: সমীক্ষা
তবে,সেই রেশন সামগ্রী নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ আসতে শুরু করেছে।কোথাও রেশনের সামগ্রী কম দেওয়ার অভিযোগ। আবার কোথাও উঠেছে রেশনের সামগ্রী পাচারের অভিযোগ। অভিযোগ আসার পর বেশকিছু রেশন ডিলারের লাইসেন্স বাতিল,গ্রেপ্তারের মতো কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে।
এতকিছুর পরও রেশন নিয়ে কিন্তু মানুষের ক্ষোভ কমেনি,বরং বেড়েছে। বিরোধীরাও এই ইস্যুতে প্রতিনিয়ত রাজ্য সরকারকে নিশানা করে চলেছেন।এই পরিস্থিতিতে রেশনের গুনগুন মান যাচাই করতে মাঠে নামলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আচমকাই হানা দিলেন রেশন দোকানে।
রবিবার ছুটির দিন হওয়ায় এমনিতেই রেশন দোকানে অন্য দিনের থেকে একটু ভিড় বেশিই থাকে।সেই জন্য ছুটির দিনেই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন নিজের চোখে। প্রথমে বারাসতের বামনগাছির কাছে একটি রেশন দোকানে গিয়ে ‘সারপ্রাইজ ভিজিট’ করেন খাদ্যমন্ত্রী।সেখান থেকে আসেন কাজিপাড়ার একটি রেশন দোকানে। এরপর,বারাসত ডাকবাংলোর কাছে আরও দুটি ও মধ্যমগ্রামের একটি রেশন দোকানে হানা দেন খাদ্যমন্ত্রী।
প্রতিটি দোকানে সরকারের দেওয়া রেশনের চাল ও আটার গুনগুন মান ঠিকঠাক আছে কিনা,তা যাচাই করে দেখা হয়।নিজেই সেই কাজ তদারকি করেন খাদ্যমন্ত্রী। সবশেষে,কথা বলা হয় গ্রাহকদের সঙ্গে।সবকিছু খতিয়ে দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান পদ প্রত্যাখ্যান করলেন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য
এবিষয়ে খাদ্য মন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,”বারাসতের চারটি ও মধ্যমগ্রামের একটি রেশন দোকানে সবকিছু খতিয়ে দেখা হয়েছে। সেখানে ব্যবস্থাপনা সবকিছু ঠিকঠাক আছে।খুব সুন্দরভাবে চলছে সেখানকার রেশন ব্যবস্থা।গ্রাহকরাও খুব সন্তুষ্ট।ব্যবস্থাপনা নিয়ে কেউ কোনও অভিযোগ করেনি আমার কাছে”।
তিনি আরও বলেন,”কেন্দ্রীয় সরকারের চালের থেকে রাজ্য সরকারের পাঠানো রেশনের চাল গুনগত দিক থেকে অনেক ভালো।গ্রাহকরাও রাজ্য সরকারের দেওয়া চালের প্রশংসা করেছে।আমরা লকডাউনে গরিব নিম্নবিত্ত মানুষের কাছে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর।এখানে কোনওসময় আপস করা হবেনা”।