চতুর্থ দিনে ১৩০০ পরিবার পেলেন “অন্নপূর্ণা “র অন্ন -” তুমিও মানুষ আমিও মানুষ তফাৎ শুধু শিরদাঁড়ায় ” বললেন অতনু প্রসাদ মিত্র

রাহুল গুপ্ত

প্রথম দিন পেয়েছিলেন ৮৫০ টি পরিবার , দ্বিতীয় দিন ” অন্নপূর্ণা ” থেকে রান্না করা খাদ্যদ্রব্য পেয়েছেন ১১২০ টি পরিবার এবং তৃতীয় দিনে পেয়েছিলেন ১২১০ পরিবার, চতুর্থ দিনে সেই সংখ্যা আরও বেড়ে হলো ১৩০০ টি পরিবার।

মানুষের পাশে , সঙ্গে থেকে গত ১৬ই এপ্রিল থেকে রান্না করা খাদ্যদ্রব্য দেওয়া হচ্ছে ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডের দরিদ্র পরিবারগুলোকে। এর আগে ৫ই এপ্রিল থেকে ১৪ই এপ্রিল পর্যন্ত দেওয়া হয়েছিল খাদ্যদ্রব্য সামগ্রী।

দক্ষিণ কলকাতা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অতনু প্রসাদ মিত্রের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ৪ হাজার পরিবারকে দেওয়া হয়েছিল খাদ্যদ্রব্য সামগ্রী।

এদিন প্রথমে ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডের দেওধর স্ট্রিট সংলগ্ন অঞ্চলে দেওয়া হয় খাদ্য দ্রব্য সামগ্রী প্রায় ১২০ টি পরিবারকে। পরিস্থিতির স্বীকার যারা তারা এদিন এসেছিলেন খাদ্য দ্রব্য সামগ্রী নিতে। কেউ ঢেকেছেন মুখ মাস্কে তো কেউ আবার শাড়ির আঁচলে আবার অনেকেই মুখে ঢেকেছেন রুমাল দিয়ে।

চলছে পুলিশি টহলদারি বারবার , দ্বিতীয় পর্যায়ের এই লক ডাউন কে মানতেই হবে নির্দেশ দিচ্ছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। দুপুর হওয়ার পরপরই শুরু হয়ে যায় রান্না করা খাদ্য দ্রব্য দেওয়া।

এদিন ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডের পেয়ারাবাগান অঞ্চলের প্রায় ১০ টি ক্লাবে ক্লাবে পৌঁছে যায় দুপুরের খাবার। খাবার দেওয়া হয় পদ্মপুকুর লেন সংলগ্ন অঞ্চলে, বেলতলা নিউ কিশোর সংঘ , বাটাম ক্লাব , ভাই ভাই সংঘ , দেশবন্ধু ক্লাব , মিত্র সংঘ ক্লাব , পেয়ারাবাগান সংলগ্ন ৪১ নম্বর , মাধব লেন , যতীন বয়েস ক্লাব ,পেয়ারাবাগান সংলগ্ন কালী মন্দির।

আরও পড়ুনঃ করোনা আতঙ্কঃ সিল করা হল ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের শহিদ স্মৃতি কলোনি

এদিন অতনু প্রসাদ মিত্র নিজে হাতে খাদ্য দ্রব্য প্রদান করলেন মানুষের কাছে। হাতে গ্লাভস , মুখে মাস্ক পরে এক খাদ্য দ্রব্য প্রদান করেন তিনি। এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল যুব নেতা ভরত জানা, রাজীব যাদব । করোনা আবহে অতনু বলেন ” অনেকেই ঘরে থেকে বারবার বার্তা দিচ্ছেন , বিরোধীরা শুধু সমালোচনা করছেন , কিন্তু মানুষের পাশে থেকে না কাজ করলে কঠিন পরিস্থিতিতে মানুষ চেনা যায় না। তিনি বলেন ” তুমিও মানুষ আমিও মানুষ তফাৎ শুধু শিরদাঁড়ায় ” .

প্রত্যেক ক্লাবেই এদিন ঘুরে ঘুরে পরিদর্শন করেন অতনু। দেখে নেন সবাই মাস্ক ও গ্লাভস পরে দিচ্ছেন কি না। তিনি বলেন ” ঝড় আসে , লন্ড ভন্ড করে যায় , আবার থেমেও যায়। এই ঝড় ও একদিন থামবে। ”

ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে ” অন্নপূর্ণা ” এর হেল্প লাইন দুটি নম্বর। নম্বর দুটি হলো – ৮২৪০২ ৩৮৭০৭ এবং ৯৮৩০৮০৬৯১৫।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় , সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অতনু প্রসাদ মিত্রের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ” অন্নপূর্ণা “. কলকাতা পুরসভার ৬৯ নম্বর ওয়ার্ড সংলগ্ন অঞ্চলে এই খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে ঘরে ঘরে।

যারা করোনা গ্রাসে পরিস্থিতির স্বীকার যাদের অবস্থা খুব দুর্বিসহ , যারা দিন আনে দিন খায় তারাই এই সুবিধার আওতায় পড়ছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট