গণ সংগ্রাম থেকে নির্বাচনী সংগ্রাম, মুখ্য ভূমিকা পালন করুক বামফ্রন্ট আবেদন ফরোয়ার্ড ব্লকের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ২১ এর নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বিপর্যস্ত হয়েছে বাম দলগুলি। স্বাধীনতার পর বিধানসভায় একটি আসন পায়নি বামফ্রন্ট৷ নির্বাচনী ফলাফলের মূল্যায়ন করতে গিয়ে জোটের বিরোধিতা করে বসে ফরোয়ার্ড ব্লক। শনিবার রাজ্যের সদর দফতরে ফরোয়ার্ড ব্লক রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দেন, গণ সংগ্রাম থেকে নির্বাচনী সংগ্রামে শুধুমাত্র মুখ্য ভূমিকা পালন করবে বামপন্থীরাই।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে নরেন চট্টোপাধ্যায় বলেন, শুরু থেকেই কংগ্রেস এবং আইএসএফের সঙ্গে এই জোটের বিরোধিতা তাঁরা করেছেন। কিন্তু বাম ঐক্যের স্বার্থে আলাদা করে কোনও সিদ্ধান্ত তাঁরা নিতে পারেননি। কিন্তু নির্বাচনের পর বোঝা গেছে আইএসএফ এবং কংগ্রেসের সঙ্গে জোট সাধারণ মানুষ ভালোভাবে নেয়নি। তাই একটিও আসন তাঁরা পায়নি।
তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, কোনও ধর্মীয় গুরুর ছড়ি ঘোরানোতে নয়, কোনও কোম্পানি দলের ছড়ি ঘোরানোতে নয়, বরং ঐক্যবদ্ধভাবে সিদ্ধান্ত নিক বামফ্রন্ট৷ এর জন্য বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুর সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সিপিআইএম এর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। গণ সংগ্রাম থেকে নির্বাচনী সংগ্রামে সিদ্ধান্ত নিক বামফ্রন্ট।
নির্বাচনের আগে জোট নিয়ে কথাবার্তা চলছিল। এরপর ২৮ শে ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে ঘোষণা হয় বিধানসভা নির্বাচনে বামফ্রন্টের নেতৃত্বে লড়াই করবে সংযুক্ত মোর্চা। যার অন্যতম দুই শরীক দল হবে কংগ্রেস এবং আইএসএফ৷ বামফ্রন্টে সঙ্গে কংগ্রেসের জোট মেনে নিলেও আইএসএফের সঙ্গে এই জোট মেনে নেয়নি আম জনতা।
নির্বাচনের ফল নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন অশোক ভট্টাচার্য, তন্ময় ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়রা। বাম শরীক দলগুলির মধ্যেও অসামঞ্জস্য তৈরি হয়। জোট বিরুদ্ধে সরব হয় ফরোয়ার্ড ব্লক। তবে কী বামফ্রন্ট ছাড়তে চলেছে ফরোয়ার্ড ব্লক? যা নিয়ে শুরু হয় জল্পনা। শেষমেশ শুক্রবারের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এই বামফ্রন্ট অবস্থায় অন্য কাউকে যুক্ত করতে রাজি নয় তাঁরা৷ পরবর্তীকালে বামফ্রন্টের তরফে জোট নিয়ে অন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে বিকল্প খুঁজে নিতে পারে ফরোয়ার্ড ব্লক। স্পষ্ট করেছেন রাজ্য সম্পাদক।