আজ থেকে চালু হল দুয়ারে রেশন, প্রথমদিনে গড়ে প্রতি এলাকায় ১৫ জনের বাড়ি পৌঁছল খাদ্য সামগ্রী
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ পরীক্ষামূলকভাবে চালু হওয়া দুয়ারে রেশন প্রকল্পের শুক্রবার ছিল প্রথম দিন।প্রথমদিনে দুয়ারে রেশন প্রকল্পের সঠিক বাস্তবায়ণ হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বরানগর এলাকায়।
ওই এলাকার যিনি রেশন ডিলার প্রথম দিনেই ৩৫ জনের বাড়ি তাদের জন্য বরাদ্দ খাদ্যদ্রব্য প্যাকেট করে পৌঁছে দিয়েছেন।একইসঙ্গে ই-পস মেশিনের সাহায্যে তাঁদের রেশনকার্ডের তথ্য নথিভুক্তও করেছেন তিনি। একইভাবে মধ্য কলকাতার আমহাস্ট্রীট ও দক্ষিণ কলকাতার অলিপুরে এই প্রকল্প চালু হয়েছে।
এই দু’ জায়গাতেই দুয়ারে রেশন প্রকল্পের বাস্তবায়ণ ভালোই হয়েছে।উভয় এলাকাতেই ১৫ জনের বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে রেশন। দক্ষিণ কলকাতায় এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে গিয়ে বিপাকে পড়েন ফেয়ারপ্রাইজ শপের মালিক।
বহু সাংবাদিক ও চিত্র সাংবাদিক তাঁর পিছু নেওয়ায় কিছুটা ভয় পেয়ে ফিরে আসেন ওই ডিলার। তবে বহুক্ষত্রের এই প্রকল্পের প্রচারের জন্য এলাকায় ক্যাম্প করেছেন ডিলাররা।
মঙ্গলবার দুয়ারে রেশন নিয়ে খাদ্যভবনে যে মিটিং হয়েছিল, সেখানে খাদ্য সচিব স্পষ্টভাষায় বলে দিয়েছিল, দুয়ারে রেশনের অর্থ রেশন সামগ্রী সরাসরি মানুষের দরজায় পৌঁছে দেওয়া। এদিন ক্যাম্প করে রেশন দেওয়ায় সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত হওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা হয়েছে।
সর্ব ভারতীয় ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশনের সভাপতি বিশ্বম্ভর বসু এই বিষয়ে জানিয়েছেন, প্রথমদিন এই ছবি অবশ্যই দুয়ারে রেশন নামের সঙ্গে সাজুয্যপূর্ণ নয়।২২ টা জেলায় মোট ২৮ টি দোকানে এদিন এই প্রকল্প চালু হয়েছে।এরমধ্যে ২২ টি জেলায় এবং ৬ টি কলকাতা ও লাগোয়া শহরতলিতে।
গোটা দেশ এবং পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি আমাদের কাছে প্রধান শত্রু, CPM নির্বাচনের আগে BJP বিষয়টাকে অত্যন্ত খাটো করে দেখলেনঃ দীপঙ্কর ভট্টাচার্য
পরীক্ষামূলকভাবে হলেও এই প্রকল্প যাতে করোনা পরিস্থিতিতে চালু না হয় তার জন্য আবেদন জানিয়েছে ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশন।অবস্তানগত অসুবিধার জন্য পহাড়েও এই প্রকল্প তাঁদের দাবি মেনে স্থগিত রাখা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যে এই দুয়ারে রেশন চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
সেকথা মাথায় রেখেই পরীক্ষামূলকভাবে এই প্রকল্প চালু হল।এবার এই প্রকল্পের প্রাপকদের থেকে ফিডব্যাক নিয়ে আগামী সোমবার একটা পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।ওই বৈঠক থেকেই আগামীতে এই প্রকল্প কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে তার রূপরেখা তৈরি করবে খাদ্য দফতর।