বয়সনীতির বেড়াজালে বাদ পড়লেন হান্নান, ব্যতিক্রমে পলিটব্যুরোয় বিজয়ন

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রবিবার কেরলের (Kerala) কান্নুরে শেষ হল সিপিএমের ২৩ তম পার্টি কংগ্রেস। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক থেকে গেলেন সীতারাম ইয়েচুরি (Sitaram Yechuri)। সিপিএমের সংবিধান অনুযায়ী এটাই ইয়েচুরির শেষ টার্ম হতে চলেছে। কারণ কেউ তিনবারের বেশি সাধারণ সম্পাদক পদে থাকতে পারেন না। তাই আগামী সম্মেলনে ইয়েচুরির (Sitaram Yechuri) বিদায় নিশ্চিত।

এবারে পার্টি কংগ্রেসে সিপিএম কড়া হাতে বয়সনীতি বলবত করে। অনেক আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল ৭৫ বছরের উর্দ্ধে কেউ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য থাকতে পারবেন না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেই নিয়ম মানা হল। যদিও কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর(Kerala CM Pinarai Vijayan) বেলায় সেই নিয়মের ব্যতিক্রম দেখা গেল।

সিপিএমের অভ্যন্তরীণ সমীকরণে প্রকাশ কারাত (Prakash Karat) শিবিরের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। একমাত্র বাম শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এই মুহূর্তে দেশের সর্ববৃহৎ কমিউনিস্ট দলের অন্দরে তাঁর দাপট যথেষ্ট।

তবে বিজয়নের বয়স ৮০ পেরিয়েছে। তবু তাঁকে কেন্দ্রীয় কমিটি তথা পলিটব্যুরোয় রেখে দিল সিপিএম। যা নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রমী ঘটনা। কিন্তু কেরলের ক্ষেত্রে নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটালেও বাংলার এক নেতার বিষয়ে নরম হলেন না তাঁরা। বাদ পড়তে হল হান্নান মোল্লাকে (Hannan Mollah)।

Ram Chandra Dome : দল ছোটো হচ্ছে, বাঁচতে রাম ডাক্তাররাই ভরসা সিপিএমের

সিপিএমের কৃষক সংগঠন সর্বভারতীয় কিষান সভার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেশজোড়া কৃষক আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন হান্নান মোল্লা। তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ও সাংগঠনিক দক্ষতার উপর ভর করে দেশের ৫০০ টির বেশি কৃষক সংগঠনকে এক ছাতার তলায় এনে গড়ে ওঠে সংযুক্ত কিষান মোর্চা। হান্নান মোল্লার এই সাড়া জাগানো কৃতিত্বের জন্য তাঁকে কেন্দ্রীয় কমিটি তথা পলিটব্যুরোয় রেখে দেওয়ার দাবি ওঠে।

যদিও শেষ পর্যন্ত বাদ পড়তে হয় উলুবেড়িয়ার এই প্রাক্তন সাংসদকে। তাঁর জায়গায় কৃষক প্রতিনিধি হিসেবে পলিটব্যুরোয় এসেছেন সর্বভারতীয় কিষান সভার সভাপতি মহারাষ্ট্রের অশোক ধাওয়ালে। এই ঘটনায় পরিষ্কার সিপিএমের ভিতরে এই মুহূর্তে কেরল লবির দাপদ প্রশ্নাতীত।

সম্পর্কিত পোস্ট