পুঁজিপতি বন্ধুদের ঋণ মুকুব করাই ছিল প্রধানমন্ত্রীর নোট বাতিলের উদ্দেশ্যঃ রাহুল
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ২০১৬ সালের ৮ ই নভেম্বর। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় রাত ১২ টার পর থেকে ৫০০ এবং হাজারের পুরাতন নোট বন্ধ হয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে নিয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করে বিভিন্ন মহল। চার বছর পর প্রধানমন্ত্রীর নেওয়া নোট বাতিলের সিদ্ধান্তকে সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলে দাবী করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সরাসরি আক্রমণ করে কংগ্রেস নেতার মন্তব্য, নিজের কর্পোরেট বন্ধুদের ঋণ মুকুব করার জন্য সুপরিকল্পিতভাবে সাধারণ মানুষের টাকা ব্যাংকে ঢুকিয়েছিলেন মোদি।
প্রথম দফায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নোটবাতিলের পিছনে উদ্দেশ্য ছিল, সমস্ত কালো নোট উদ্ধার করা এবং দেশের মধ্যে দুর্নীতিগ্রস্তদের হাতেনাতে পাকড়াও করা। পাশাপাশি নোট বাতিলের ফলে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির অর্থ সরবরাহ বন্ধ হবে বলে দাবী করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। বরং যে পরিমাণ ক্যাশ টাকা ফিরে আসার কথা ছিল তা আসেনি বলে দাবী করে আরবিআই। পরিবর্তে সিস্টেম থেকে টাকা উধাও হয়ে যাওয়ার কারণে অর্থনীতি একবারে তলানিতে ঠেকে যায়। অর্থনীতিবীদদের দাবী, নোট বাতিলের ফল এখনও ভুগতে হচ্ছে মানুষকে।
রবিবার একটি ভিডিও প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি বিঁধেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, ভারতের অর্থনীতি একসময়ে বিশ্বের অন্যতম প্রগতিশীল দেশগুলির মধ্যে ছিল। আজ পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে বাংলাদেশের অর্থনীতি ভারতের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে। সরকারের তরফে বলা হচ্ছে কোভিড। কিন্তু কোভিড তো বাংলাদেশেও রয়েছে এবং সারা বিশ্বে এর প্রভাব পড়েছে। আসল কারণ কোভিড নয়, আসল কারণ হল নোটবন্দি এবং জিএসটি।
তিনি আরও বলেন, চার বছর ধরে ভারতীয় অর্থনীতির সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চাষি, মজদুর এবং ছোট দোকানদারদের ওপর ব্যাপক আঘাত এনেছেন তিনি। মনমোহন সিং জি আগেই বলেছিলেন, ভারতীয় অর্থনীতি এর ফলে ভেঙে পড়বে। এখন আমরা সেটাই দেখতে পাচ্ছি।
শুধুমাত্র দুই তিনজন পুঁজিপতি বন্ধুদের ঋণ মুকুব করতে নোটবন্দি করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। একেবারে সরাসরি তোপ দাগলেন রাহুল। নোটবন্দির কারণে দেশের সাধারণ মানুষকে লাইনে দাঁড়াতে হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর পুঁজিপতি বন্ধুদের দাঁড়াতে হয়নি। আর তাঁদের টাকা দিয়েই প্রায় ৩,৫০,০০০ কোটি টাকার ঋণ মুকুব করেন প্রধানমন্ত্রী।
২০১৬ সালের পর থেকে ৮ ই নভেম্বর দিনটিকে কালা দিবস হিসাবে পালন করে আসছে কংগ্রেস। এই বছর ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ দিবস হিসাবে পালন করছে তাঁরা।