রাজ্যের নির্দেশ, ১০ হাজার গাছ লাগাতে ফাঁকা প্লট নিল হিডকো
দ্য কোয়ারি ওয়েবেডেস্কঃ নিউটাউন অ্যাকশন এরিয়া ১ এ জমি দেওয়া হয়েছিল বাড়ি তৈরি করার জন্য। কিন্তু তার পরেও সেখানে বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেননি বহু জমির মালিকই।
সেই কারনেই চার বছর আগে হিডকোর পক্ষ থেকে পুর নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের উপস্থিতিতে জমির মালিকদের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। যেখানে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যাতে সেই জমিতে প্ল্যান অনুমোদন না করানো হলে জমি ফেরৎ নিয়ে নেওয়া হবে।
এরপরে ৬০ শতাংশ জমিতে প্ল্যান অনুমোদন করা হলেও তার মধ্যে এখনও বেশ কিছু জমিতে কাজ শুরু হয়নি। ফলে সেখানে জন্মাচ্ছে আগাছা। জমছে জল। ডেঙ্গির প্রকোপ বৃদ্ধির সম্ভাবনা বাড়ছে অহরহ।
এদিকে আমফানের ঝড়ে সবুজ শহর নিউটাউনে গাছের ক্ষতি হয়েছে সর্বাধিক। রাজ্যের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যে ওই গাছকে নতুন করে বসাতে হবে। সেই কারণেই এবার হিডকোর পক্ষ থেকে নেওয়া হল নতুন এক পন্থা।
মাস্কের বদলে মুখ ঢাকা আঁচলে, পুলিশি প্রচারের পরও চূড়ান্ত জনসচেতনার অভাব বারাসাতে
যেখানে ফাঁকা জমির মালিকের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে সেখানেই বসানো হচ্ছে গাছ। ১০ হাজার গাছ বসানোর টার্গেট নেওয়া হয়েছে হিডকো এলাকাতে।
এই বিষয়ে হিডকোর চেয়ারম্যান দেবাশিষ সেন জানিয়েছেন, “আমরা রাজ্যের নির্দেশ মেনেই নিউটাউনে গাছ বসানোর কাজ শুরু করলাম। তার জন্য ফাঁকা জমিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। জমির মালিকের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই আমরা সেখানে ফেন্সিং করে নির্দিষ্ট রূপরেখা মেনে গাছ বসানোর কাজ শুরু করলাম।”
মূলত নিউটাউনের অ্যাকশন এরিয়া ১এ বর্তমানে জনসংখ্যা খানিকটা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৮০ হাজার। কিন্তু তাও কার্যত পর্যাপ্ত নয়।
সেই কারণে ফাকা জমি থেকে যাতে মশা বাহিত রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি না পায় তার জন্যই এই উদ্যোগ। এক ঢিলে দুই পাখির মারার চেষ্টা হিডকোর।
একদিকে যেমন সবুজের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে ঠিক অন্যদিকে ফাঁকা জমি দেখভালের জন্য গাছ লাগানো হলে তা পরিষ্কারও থাকবে।