উপনির্বাচনে দু’টি আসনে জয়ী হলেই বিহারে ক্ষমতা বদল! কীসের ইঙ্গিত দিলেন তেজস্বী
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক: এই মুহুর্তে টানটান উত্তেজনা বিহার(Bihar) উপনির্বাচনকে (Byelrction)ঘিরে৷ এরই মধ্যে বাবা-ছেলের মন্তব্যে মাথা গুলিয়ে ফেলছেন নির্বাচনী বিশেষজ্ঞরা। কারণ,
তেজস্বী যাদবের (Tejaswi Yadav) দাবী আগামী ৩০ তারিখ তারাপুর এবং কুশেশ্বর আস্থানে জয়লাভ করলেই বিহারে আরজেডির (RJD)নেতৃত্বে সরকার গঠন হবে। একই কথা বলছেন লালু প্রসাদ যাদবও(Lalu Prasad Yadav)। কিন্তু কীসের ভিত্তিতে?
লালু পুত্রের কথায়, এই মুহুর্তে কোনও স্ট্র্যাটেজি তাঁরা প্রকাশ্যে আনতে চাইছেন না। বিরোধী দলনেতা জানিয়েছেন, মধ্যপ্রদেশে(Madhyapradesh) বিজেপির (BJP)সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না। সেখানে কী করে তাঁরা ক্ষমতায় এল। এখনই কোনও কিছু বলে গোটা বিষয়টিকে ভেস্তে দিতে নারাজ তিনি।
অন্যদিকে, প্রায় সাড়ে তিন বছর পাটনায় ফিরে একই দাবী করছেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবীদ লালু প্রসাদ যাদব। বাবা-ছেলের এই রাজনৈতিক অঙ্ক মেলাতে গিয়ে মাথা গুলিয়ে যাচ্ছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের৷
কারণ, গত বছর বিহার নির্বাচনে ২৪৩ টি আসনের মধ্যে ১২৮ টি জয়লাভ করে ক্ষমতায় আসে নীতিশ কুমারের সরকার। এর মধ্যে বিজেপি পায় ৭৪ টি আসন, জেডিইউ পায় ৪৩ টি আসন।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতেন রাম মাঝির হিন্দুস্থান আওয়ামী দল পায় ৪ টি এবং বিকাশশীল ইনসান পার্টি পায় ৪ টি আসন। এছাড়াও একটি করে আসন পাওয়া এলজেপি এবং বিএসপি বিধায়করা পরে এনডিএ শিবিরে যোগ দেয়।
যে দুটি আসনে উপনির্বাচন হওয়ার কথা সেই দুটি আসন এতদিন জেডিইউয়ের দখলে ছিল। সেটা ধরে রাখতে সক্ষম হবে নীতিশ কুমারের দল। নাকি বাবা-ছেলের নজর পড়েছে জোটসঙ্গীদের ওপর? নাকি সরকার বদলের পরিকল্পনা নিয়েই নির্বাচনী ময়দানে নামছেন লালু প্রসাদ যাদব?
বিরোধী শিবিরে থেকে কড়া টক্কর দেয় আরজেডি নেতৃত্বধীন বিরোধী জোট। ১১০ টি আসন পায় তাঁরা। তাহলে কীসের ভিত্তিতে ক্ষমতায় আসার কথা বলছেন তেজস্বী।
তবে কী এবার বিহারে একগুচ্ছ বিধায়কদের শিবির বদল হচ্ছে? পাটনায় পা রাখতেই শুরু হয়েছে লালুর বেসামাল চাল? আপাতত ২ নভেম্বর নির্বাচন ফলাফলের দিকেই নজর রাখার বার্তা লালু পুত্রের।