অস্ট্রেলিয়ার অগ্নিকান্ড : ভস্মীভূত দক্ষিন-পুর্ব, ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে ভারতীয় দম্পতি

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ আগুনে ভস্মীভূত অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার অগ্নিকান্ড এর জেরে ক্রমশ বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। মৃতের সংখ্যা এই মুহূর্তে ২৩ । পরিস্থিতি খুবই আশঙ্কাজনক।

নিউ সাউথ ওয়েলস এবং ভিক্টোরিয়াতে জরুরী অবস্থা জারি করেছে সরকার। অস্ট্রেলিয়ার অগ্নিকান্ড এর জেরে বদলে গিয়েছে আবহাওয়া।

দৈত্যাকার আগুনের ঘূর্ণিঝড় ক্রমশ বেড়েই চলেছে। তার ওপর বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ কম থাকায় বৃষ্টির দেখা মেলেনি এখনও। এমনই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ালেন ভারতীয় দম্পতি।

ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষের জন্য নিজের রেঁস্তোরা থেকে খাবার নিয়ে ভিক্টোরিয়ায় উপস্থিত হলেন কানওয়ালিজিৎ সিং এবং তাঁর স্ত্রী কমলজিৎ কৌর। ভিক্টোরিয়ার ত্রান কেন্দ্রগুলিতে খাবার পাঠিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ওই দম্পতি।

ক্রমশ আগুন ছড়িয়ে পড়ায় যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা দুর্ভাগ্যজনক বলে জানিয়েছেন ওই দম্পতি। তাই খাবারের যোগান দিয়েই সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাইছেন তাঁরা।

সূত্রের খবর গত বছরের অগাস্ট থেকেই ধীরে ধীরে দাবানলের গ্রাসে যেতে শুরু করে দক্ষিণ-পুর্ব অস্ট্রেলিয়ার একাংশ।

অস্ট্রেলিয়ার অগ্নিকান্ড –এ প্রায় ১৪ হাজার হেক্টর এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবী প্রশাসনের।

গত বছর উপর থেকে অস্ট্রেলিয়ার যে অংশটি সবুজ বলে মনে হত, আজ তা কালো ধোঁয়ায় পরিণত হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার অগ্নিকান্ড এর জন্য জলবায়ুর পরিবর্তনের চেয়ে জাতীয় উদ্যানগুলির রক্ষণাবেক্ষণের অভাবকেই দুষছেন পরিবেশবিদরা।

শনিবার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করতে যান প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য ৩ হাজারের বেশী সেনাবাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ার কারণ হিসেবে জঙ্গলের ভিতরে উপস্থিত পর্যাপ্ত পরিমাণে জ্বালানিকেই দুষেছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী মরিসনের দাবী, যে সমস্ত ব্যক্তি জলবায়ুর পরিবর্তন নিয়ে এত কথা বলেন, তাঁরাই জরুরী অবস্থায় কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার সমস্য পিছিয়ে যান।

পাল্টা তাসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডেভিড বোম্যান জানিয়েছেন, যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা দুর্ভাগ্যজনক।

প্রধানমন্ত্রী এবিষয়ে যে মন্তব্য করেছেন তা অত্যন্ত হাস্যকর। প্রধানমন্ত্রী মরিসনের বক্তব্যকে “অলস রাজনৈতিক মন্তব্য” বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি।

শনিবার ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করতে এসে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়ে প্রধানমন্ত্রীকে।

ভয়াবহ দাবানলের গ্রাসে ভস্মীভূত দক্ষিণ-পূর্ব অস্ট্রেলিয়ার পরিস্থিতির জন্য তাঁকেই দায়ী করছেন সাধারণ মানুষ।

নিউ সাউথ ওয়েলস এবং ভিক্টোরিয়ায় দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেড় হাজারের অধিক ঘরবাড়ি।

এই মুহূর্তে সিডনির তাপমাত্রা ৪৮.৯ ড্রিগ্রি সেলসিয়াস। পুড়ে গিয়েছে একাধিক পর্যটন কেন্দ্র।

যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার ফ্লিন্ডারস্‌ চেজ ন্যাশনাল পার্ক, ক্যাঙ্গারু উদ্যান ।

যে সমস্ত প্রাণীদের উদ্ধার করা হয়েছে তাঁদের মধ্যে কিছু কোয়ালাস, ওয়ালাবলি, ক্যাঙ্গারু সহ রয়েছে ভিন্ন প্রজাতির কোমালও।

সম্পর্কিত পোস্ট