West Bengal Election: রাজ্যের সহমতের ভিত্তিতে হবে শিল্পায়ন, ইস্তেহারে স্পষ্ট বার্তা বামেদের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ২০১৬ সালের নির্বাচনী ইস্তেহারে বামেদের প্রধান লক্ষ্য ছিল শিল্পায়ন। ‘কৃষি আমাদের ভিত্তি, শিল্প আমাদের ভবিষ্যৎ”। পরবর্তীকালে সিঙ্গুর এবং নন্দীগ্রামের আন্দোলনের পর বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে আসে তৃণমূলের সরকার। যার পিছনে ছিল তৃণমূলের জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে আন্দোলন।
তাই ২১ এর ইস্তেহারে স্পষ্ট করলেন রাজ্যের সহমতের ভিত্তিতে হবে শিল্পায়ন। শিল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণের বিষয়টি সম্পর্কে বোঝাপড়া করেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পরিবারের একজনকে প্রশিক্ষণ এবং কর্মসংস্থানের বন্দোবস্ত করতে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুনঃ West Bengal Election: দলীয় সভায় অধিকারী সদস্যদের আমন্ত্রণ জানাতে শান্তিকুঞ্জে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে ইস্তেহার প্রকাশ করেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বামফ্রন্টের একাধিক নেতারা। বিমান বসু বলেন, এর আগে খসড়া প্রকাশ করা হয়েছিল। শনিবার চূড়ান্ত ইস্তেহার প্রকাশ করা হল।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী আহত হওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে বিমান বসু বলেন, নাগরিকরা স্বাস্থ্য পরিষেবা পাচ্ছেন না। তা উদাহরণ হিসাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে আঘাত লাগা। মিথ্যা চিয়ে শুরু করেছিলেন। মিথ্যা দিয়েই শেষ হবে তৃণমূলের।
নন্দীগ্রামে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থাকা সত্ত্বেও কেন গ্রীন করিডোর করে মুখ্যমন্ত্রীকে এসএসকেএম হাসপাতালে আনা হল? বাম আমলে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ঢক্কানিনাদ ছিল না। তবুও কাজ ভালো হত। স্বাস্থ্যের বেহাল দশা।
মোদি সরকারের আসল পরিবর্তন প্রসঙ্গে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুনেছি। মোদি ‘ডাবল ইঞ্জিন’ সরকারের কথা বলছেন। কিন্তু ত্রিপুরা, উত্তরপ্রদেশে একই সরকার রয়েছে। সেখানে কি হয়েছে? প্রশ্ন তুলেছেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান।