বিহারে নাশকতার ছক আইএসআই-র ! গোয়েন্দা রিপোর্টের পরই জারি হাই অ্যালার্ট

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃজঙ্গী নাশকতার আশঙ্কায় বিহারের রেল স্টেশন গুলিতে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে পূর্ব এবং মধ্য রেলের তরফে। জরুরি বৈঠকে বসেছেন উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। গোয়েন্দা রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই রেলস্টেশন গুলিকে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে।

গোয়েন্দারা ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছেন উত্তরপ্রদেশ, বিহার এবং পাঞ্জাবের যেসব শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে পরিযায়ী শ্রমিকরা যাতায়াত করছেন সেই ট্রেনগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনায় রয়েছে জঙ্গীরা। গোয়েন্দা রিপোর্টে যে তথ্য উঠে এসেছে তাতে ঘুম ছুটেছে উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের।

কড়া চিঠি অধীরকে, একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলে ইস্তফা সোমেন পুত্র রোহনের

গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন আইএসআই এই ট্রেন গুলিতে বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। টাইম বোমা দিয়ে নাশকতা ঘটানোর ছক কষছে তারা। পাঞ্জাবের স্লিপার সেল গুলিকে ইতিমধ্যেই সক্রিয় করে তুলেছে তারা। তাই বিশেষ করে পাঞ্জাব এবং উত্তর প্রদেশ থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিক বোঝাই ট্রেনগুলোর ওপর নজরদারি চালানোর নির্দেশিকা জারি হয়েছে।

পাশাপাশি রেলস্টেশন গুলিতে সিসিটিভি নজরদারিতে জোর দেওয়া হয়েছে। গোয়েন্দা রিপোর্ট হাতে পাওয়ার  পরই আরপিএফ স্পেশাল চেকিং শুরু করেছে একাধিক স্টেশনে। রয়েছে সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েনও।

পাটনার এক পুলিশ আধিকারিক সম্প্রতি বিহারের ১১ জন পুলিশ সুপারিটেনডেন্ট কে চিঠি লিখে নাশকতার ছকের বিষয়ে জানিয়েছেন। চিঠিতে বলা হয়েছে পাঞ্জাবে লুকিয়ে থাকা পস্লিপার সেলদের টাইম বোমা দিয়ে সাহায্য করার কথা জানিয়েছে আইএসআই।

ইতিমধ্যেই বিহার পুলিশের হেডকোয়ার্টারের তরফে রেলের এসপি, এসডিপিও, এসএইচও ও আউটপুট ইনচার্জদের সতর্ক করা হয়েছে। বেগুসারাই, জামুই জাহানাবাদ, ভোজপুর, বক্সার, গাজীপুর সহ একাধিক স্টেশনে জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে বম্ব স্কোয়াডকে।

উল্লেখ্য গত ১৭ ই জুন দ্বারভাঙ্গা স্টেশনে আইআইডি বিস্ফোরণ হয়। সেই নাশকতার সঙ্গে কোনো যোগসূত্র থাকতে পারে কি না সে বিষয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছে গোয়েন্দা সংস্থা।

ইতিমধ্যেই এনআইএ লস্কর-ই-তৈবার চারজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে। দ্বারভাঙ্গা স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়েছে। ১৫ জুন দুই জঙ্গিকে স্টেশনের বাইরে একটি গাড়ি থেকে নামতে দেখা গিয়েছে। ওই ফুটেজ দেখা গিয়েছে তাদের হাতে কাপড় জড়ানো কোন বস্তু ছিল, যা সেকেন্দ্রাবাদগামী ট্রেনের ভিতর রাখা হয়েছিল। দুদিন বাদে সেই বিস্ফোরকের খোঁজ মিললেও ট্রেন থেকে নামিয়ে আনার পরেই বাইরে নিয়ে যাওয়ার আগেই এক নম্বর প্লাটফর্মে বিস্ফোরণ ঘটে যায়।

এসটিএফ এই বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে লস্কর-ই-তৈবা সন্দেহে দুই জনকে গ্রেফতার করে। জেরায় তারা জানিয়েছে পাকিস্তানের গুপ্তচরের কাছ থেকে ৪.৬ লক্ষ টাকা পেয়েছিল তারা ।

গত রবিবারই উত্তর প্রদেশ থেকে আল-কায়েদা জঙ্গি সন্দেহে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। সবমিলিয়ে গোয়েন্দা রিপোর্ট হাতে আসার পরেই নড়েচড়ে বসেছে উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা

সম্পর্কিত পোস্ট