মিশনারির পর জামিয়া মিলিয়া, বিদেশি অনুদানের অ্যাকাউন্ট বন্ধ

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ২৫ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি, এই সপ্তাহটা খ্রিশ্চান সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে সবচেয়ে পবিত্র। ঠিক সেই সময় মাদার টেরেসা প্রতিষ্ঠিত মিশনারিজ অফ চ্যারিটির বিদেশি অনুদান সংগ্রহের অ্যাকাউন্টটি বন্ধ হয়ে যায়। অভিযোগ ওঠে খ্রিশ্চানদের ভাবাবেগের মর্যাদা না দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ওই অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার বন্ধ হয়ে গেল আরেক সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান জামিয়া মিলিয়ার বৈদেশিক অনুদান সংগ্রহের অ্যাকাউন্ট।

জামিয়া মিলিয়া দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মুসলমানদের পরিচালিত অত্যন্ত পরিচিত একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। স্বাধীনতার বহু আগে থেকে এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সেবামূলক কাজ করে আসছে। মূলত এদের তত্ত্বাবধানেই পরিচালিত হয় দেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া।

দেশ-বিদেশের বহু মানুষ ও প্রতিষ্ঠান প্রতিবছর জামিয়া মিলিয়াকে অনুদান পাঠান‌। সেই অনুদান যেমন শিক্ষা ক্ষেত্রে কাজে লাগে তেমনই সমাজসেবামূলক প্রচুর কাজ করা হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বিদেশি অনুদান সংগ্রহের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ায় দেশের বাইরে থেকে আর কোনও অনুদান নিতে পারবে না এই বিখ্যাত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি। এর প্রভাব সমাজের নানান ক্ষেত্রে পড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।

করোনা আক্রান্ত বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ভর্তি হাসপাতালে

উল্লেখ্য মাদার টেরেসার মিশনারিজ অফ চ্যারিটির অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়া নিয়ে সাফাই দিতে বাধ্য হয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তারা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল মিশনারিজ অফ চ্যারিটি নিজেরাই ওই অ্যাকাউন্ট পুনর্নবীকরণ করেনি। তাই নিয়ম মেনে নির্ধারিত সময়ের পর সেটি বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের একটি সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে মিশনারিজ অফ চারিটি, জামিয়া মিলিয়া সহ দেশের নানান স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নিয়ম মেনে তাদের বিদেশি অনুদান সংগ্রহের অ্যাকাউন্টের ছাড়পত্র পুনর্নবীকরণের আবেদন জানিয়েছিল। কিন্তু অমিত শাহের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বেশিরভাগেরই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।

সংখ্যালঘু পরিচালিত দেশের দুটি বিখ্যাত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করার অভিযোগ উঠছে। বিরোধীদের দাবি, পরিকল্পনা করেই এই কাজ করছে অমিত শাহের মন্ত্রক। এক্ষেত্রে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোট থাকার বিষয়টিকে উল্লেখ করা হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে এতে করে রক্ষণশীল হিন্দুদের কাছে বিশেষ বার্তা দেওয়া সম্ভব হবে। তাতে উত্তরপ্রদেশের ভোটের মেরুকরণ আরও তীব্র হয়ে উঠবে বলেই আশঙ্কা।

সম্পর্কিত পোস্ট