৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর জম্মু-কাশ্মীরে প্রথম দিনের নির্বাচন শেষের পথে

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ২০১৯ এর ৫ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা এবং ধারা ৩৫(এ) তুলে নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। তারপর থেকে এই প্রথমবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ।

শনিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে জেলা উন্নয়ন কাউন্সিলের প্রথম দফার নির্বাচন। ৪৩ টি কেন্দ্রে চলছে ভোটদান প্রক্রিয়া। যার মধ্যে কাশ্মীরে রয়েছে ২৫ টি এবং জম্মুতে রয়েছে ১৮ টি কেন্দ্র। করোনা আবহে স্বাস্থ্য বিধি মেনে একেবারে কড়া নিরাপত্তায় নির্বাচন শেষের দিকে। মোতায়েন করা হয়েছে ১৪৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। দুপুর ২ টো অবধি চলবে ভোটদান প্রক্রিয়া। পাশাপাশি ১২,১৫৩ আসনেও চলছে নির্বাচন।

 

নির্বাচন কমিশনার কেকে শর্মা জানিয়েছেন প্রথম দফার নির্বাচনের জন্য ২১৪৬ টি বুথের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাত লক্ষের অধিক মানুষ অংশগ্রহণ করছেন নির্বাচনী প্রক্রিয়ায়।

আরও পড়ুনঃ একাধিক পন্থায় দিল্লি বর্ডারে কৃষক আন্দোলনকে প্রতিহতের চেষ্টা

আট দফার নির্বাচনে শুভারম্ভ হল শনিবার থেকে। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেছে বিজেপি, আপনি পার্টি এবং গুপকর জোট। প্রাক্তন মন্ত্রী আলতাফ বুখারির নতুন দল আপনি পার্টি। অন্যদিকে একজোট হয়ে নির্বাচনী ময়দানে নেমেছে পিডিপি, ন্যাশনাল কনফারেন্স, সিপি(আই)এম সহ ১০ টি রাজনৈতিক দলগুলি অংশগ্রহণ করেছে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায়। তাঁদের মুখ্য উদ্দেশ্য জম্মু-কাশ্মীরে ফের ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে আনা। যার নাম পিপলস অ্যালায়েন্স ফর গুপকর ডিক্লায়রেশন।

শুরুতে কংগ্রেস নিজেদের গুপকর জোটের অংশ মনে করলেও পরে রাজনৈতিক চাপানউতোরের কারণে পিছিয়ে আসেন তাঁরা। নির্বাচনী প্রচারে বিভিন্ন জায়গায় বাধা দেওয়া হয়েছে বলে দাবী করেন পিডিপি প্রধান মেহবুবা মুফতি। নির্বাচনের আগে তাঁকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। সেই কথান টুইটারে নিজেই জানান প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।

জেলা উন্নয়ন কাউন্সিলের মোট ২৮০ টি আসন রয়েছে জম্মু-কাশ্মীরে। যার মধ্যে ১৪০ টি জম্মুতে এবং বাকি ১৪০ টি কাশ্মীরে। আগামী ১৯ ডিসেম্বর অবধি চলবে নির্বাচনী প্রক্রিয়া। ফলাফল ঘোষণা ২২ ডিসেম্বর।

 

সংবিধানকে মজবুত করতে জম্মু-কাশ্মীরে জেলা উন্নয়ন কাউন্সিলের নির্বাচন উল্লেখযোগ্য বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তিনি আরও বলেন, বিপুল সংখ্যক মানুষের নির্বাচনে অংশগ্রহণ স্পষ্ট করে দিচ্ছে তাঁরা সংবিধানের পাশে রয়েছেন। তাঁরা শান্তি এবং উন্নয়ন চাইছেন।

নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে জম্মু-কাশ্মীরের ভবিষ্যৎ। যার দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব। ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের সাধারণ মানুষের সমর্থন রয়েছে কিনা তা পরিষ্কার হবে এই নির্বাচনেই।

সম্পর্কিত পোস্ট