করোনাকে থোড়াই কেয়ার, শেষ মুহুর্তের কেনাকাটায় জমজমাট উত্তর-দক্ষিণ
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মাঝখানে আর মাত্র দশটা দিন বাকি। দুর্গোৎসবে মেতে উঠবে বাঙালী। তার আগে শেষমুহুর্তের বাজার সারতে মরিয়া হয়ে বাজারহাটে কেনাকেটা শুরু হয়েছে।
রবিবার করোনার ভয়ভীতি কাটিয়ে শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণ বাজারগুলোতে ভিড় জমজমাট। ছোট-বড় দোকানগুলোর পাশাপাশি ফুটপাতেও উপচে পড়ল ভিড়।
দলে দলে ক্রেতারা ভিড় জমালেন শ্যামবাজার, হাতিবাগান, ধর্মতলা, গড়িয়াহাটে। ভিড়ের তুল্যমূল্য বিচারে এ দিন ফুটপাথের দোকানগুলো রীতিমতো টেক্কা দিয়ে গিয়েছে বড় দোকানগুলোকে।
মহিলাদের ফ্যান্সি পোশাকের সম্ভারই হোক বা কুর্তা-পাজামা থেকে শুরু করে ছেলেদের পোশাক— ফুটের সব দোকানই এ দিন ছিল ভিড়ে ঠাসা। ক্রেতা উপচে পড়েছিল— ব্যাগ, ইমিটেশনের গয়না থেকে শুরু করে সাজগোজের দোকানেও। এতে খুশি বিক্রেতারা। বাজারগুলোও এতদিনে যেন নিজের রঙে ফিরেছে। অবশ্য তাঁদের আক্ষেপও আছে।
তাঁরা বলছেন মানুষের ভিড় হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু ফি বছর যেভাবে মানুষ দোকানে ভিড় জমায় এবারে তার থেকে তুলনামুলকভাবে কম।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/the-state-has-been-on-a-72-hour-truck-strike-since-monday/
কিন্তু মানুষ যে ধীরে ধীরে ভিড় বাড়াচ্ছে তাতে রঙ ফিরেছে বাজারগুলোর। গত কয়েকমাসের করোনাকালে লকডাউনের জন্য বহু ব্যবসা রীতিমতো ধুঁকছে। এমন একটা পরিস্থিতিতে দুর্গোৎসবের এই কেনাকাটার ভিড় যেন একটু প্রাণ দিল ব্যবসায়ীদের। তবে করোনাকালে সিকেয় উঠছে দূরত্ববিধি তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
শহরবাসী ছাড়াও হাওড়া, দুই ২৪ পরগণা, হুগলী, মেদিনীপুরের বহু মানুষ কলকাতায় পুজোর বাজার সারেন। এবারও প্রাথমিকভাবে বাজারগুলোতে ভিড় না জমলেও এখন শেষমুহুর্তে অনেকেই ভিড় জমাচ্ছেন বাজারগুলোতে।
যার জন্য ভিড়ে গাদাগাদি হচ্ছে বাজারদোকানগুলো। এর মধ্যেই মাস্ক না পড়া, থুতনিতে মাস্ক নামিয়ে রাখা, গরমের জন্য মাস্ক পকেটে রেখে দেওয়ার মতো ছবিই বেশি করে ফুটে উঠলো বাজারগুলোতে। যার জন্য সংক্রমণের আশঙ্কাও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে।