বিধানসভা নির্বাচনের হলফনামায় তাদের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ কুনালের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ সোমবার নারদা মামলায় ৪ হেভিওয়েট নেতা এবং মন্ত্রী গ্রেফতার হওয়ার পর বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের সেই মামলার শুনানি ছিল। যদিও এদিন সম্পূর্ণ শুনানি হয়নি। বৃহস্পতিবার আবার সেই শুনানি হওয়ার কথা। সেই কারণে এদিনও জেল হেফাজতে থাকতে হচ্ছে সকলকে।

এই আবহে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী এবং সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
তিনি বলেন, মুকুল রায় নারদা মামলার তথ্য সম্পূর্ণরূপে গোপন করে গিয়েছেন।

এদিন কলকাতা হাইকোর্টে মামলার শুনানি শেষ হবার পর সাংবাদিক বৈঠক করেন তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র। তিনি বলেন, গোটা দেশের পরিস্থিতি খুবই বেহাল এবং কেন্দ্রীয় সরকার কোনও পদক্ষেপ নিতে পারছে না।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে অক্সিজেন নেই, ওষুধ নেই, ভ্যাকসিন নেই, এদিকে উত্তর প্রদেশ থেকে লাশ ভেসে আসছে এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে পাহারা দিতে হচ্ছে। সেই করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে অকারণে এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার চরিতার্থ করতে বিজেপি এই পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে দিয়ে।

কোভিড সারিয়ে তিন মাস পরে নেওয়া যাবে ভ্যাকসিন, জানালো কেন্দ্র

কুণালের অভিযোগ, ঠিক যে যুক্তি দেখিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা এবং মন্ত্রীদের গ্রেফতার করা হল, ঠিক একই যুক্তিতে কেন শুভেন্দু অধিকারী এবং মুকুল রায়কে গ্রেফতার করা হয়নি।
সিবিআই বলছে, মুকুল রায়কে সরাসরি টাকা নিতে দেখা যায়নি। একইভাবে ফিরহাদ হাকিমও তো নিজের হাতে সরাসরি টাকা নেননি। তাহলে দুজনের জন্য দুই ফল কেন?

এতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার চরিতার্থ করতেই এই পদক্ষেপ। এই প্রেক্ষিতেই কুণালের বিস্ফোরক দাবি, বিধানসভা নির্বাচনের সময় মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে বিজেপি প্রার্থী মুকুল রায় হলফনামায় নারদা মামলা এড়িয়ে গিয়েছেন।

এই মামলার সম্পূর্ণ তথ্য গোপন করেছেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র বলেন, মুকুল রায়ের হলফনামায় অন্যান্য মামলা থাকলেও নারদ মামলার কোনো উল্লেখ ছিল না। তাহলে কি তাঁর বা তাঁদের কাছে তখন থেকেই একটা গোপন বার্তা ছিল? প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল ঘোষ।

এদিকে জানা গিয়েছে, বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী সহ তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সৌগত রায়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ার জন্য চিঠি দিচ্ছে সিবিআই। এছাড়াও সিবিআইয়ের তালিকায় রয়েছেন সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিধানসভার অধ্যক্ষকে এই ইস্যুতে চিঠি পাঠাচ্ছে তারা। এর আগে ২০১৯ সালে অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছিল সিবিআই। এরপর আরও তিনবার অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছিল সিবিআই বলে জানা গিয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট