হাথরস নিয়ে বাম-কংগ্রেসের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে ধস্তাধস্তি
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে দলিত তরুণীকে গণধর্ষণ করে খুন করার ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। যার আঁচ এ রাজ্যেও পড়েছে। উত্তরপ্রদেশের হাথরসের নারকীয় ঘটনা এবং অমানবিক বিজেপি সরকারের ফ্যাসিস্তসুলভ আচরণ এবং উত্তরপ্রদেশে একের পর এক নারী নির্যাতন ও জাতপাতভিত্তিক বৈষম্যের প্রতিবাদে শহরের রাজপথে নেমে শনিবার বিকেলে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করল বাম-কংগ্রেস যুব, ছাত্র এবং কর্মী সমর্থকরা।
যোগী ও মোদি সরকারের বিরুদ্ধে এদিন প্ল্যাকার্ড, পোস্টার, ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ দেখাল বাম-কংগ্রেস কর্মী, সমর্থকরা। ধর্মতলায় যোগী আদিত্যনাথ ও নরেন্দ্র মোদির কুশপুতুল দাহ করা হয়। মিছিলে যোগদানকারীদের দাবি, কেন্দ্র সরকারের তখতে নরেন্দ্র মোদি এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে যোগী আদিত্যনাথের সরকারের আর প্রয়োজন নেই।
তাঁদের জমানায় মেয়েদের নিরাপত্তা সুরক্ষিত নয়। এ ধরনের নির্মম ঘটনা আগেও ঘটেছে। তারপরও তা রোখার কোনও চেষ্টা হচ্ছে না। উপরন্তু ধর্ষিতার মৃতদেহ পুলিশের জোর করে দাহ করে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটানো হল।
এদিন প্রতিবাদ মিছিলটি মৌলালী থেকে শুরু হয়। মিছিলটি যাওয়ার কথা ছিল ধর্মতলায় উত্তরপ্রদেশ হাউস পর্যন্ত। কিন্তু মিছিলটি যখন ধর্মতলায় এসে পৌঁছয় তখনই কলকাতা পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে মিছিলটি আটকায়।
আন্দোলনকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা শুরু করলে পুলিশের সঙ্গে প্রতিবাদীদের বচসা বাঁধে। শুরু হয় ধস্তাধস্তি।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/the-name-of-the-biggest-extremist-in-the-country-is-bjp-mamata-banerjee/
পুলিশকে আন্দোলনকারীরা দাবি জানায় তারা উত্তরপ্রদেশ ভবন পর্যন্ত যেতে চান। কিন্তু পুলিশ তাতে সম্মতি দেয়নি। বাম ও কংগ্রেস নেতাদের অভিযোগ, বাঁধা দিতে গিয়ে মারধর করেছে পুলিশ। ধাক্কা দেয় পুলিশ।
অন্যদিকে, তৃণমূলের প্রতিবাদ কর্মসূচী শেষ হতে না হতেই বাম-কংগ্রেসের যৌথ কর্মসূচীর কারণে এদিন বিকেল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত ধর্মতলা কেন্দ্রীক রাস্তাগুলোতে ব্যাপক যানজট তৈরি হয়।
এরমধ্যেই মশাল জ্বেলে প্রতিবাদ কর্মসূচিও চালায় বাম-কংগ্রেস ছাত্র-যুবরা। তবে শেষের দিকে বৃষ্টির জন্য কর্মসূচি দ্রুত শেষ করতে হয় প্রতিবাদীদের।