নবান্ন অভিযানে পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে আগামীকাল ১২ ঘন্টা বাংলা বনধের ডাক বামেদের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ শিক্ষার পরিকাঠামো পরিবর্তন, বেকারত্ব এবং কর্মসংস্থান সহ একাধিক ইস্যুতে বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযানের ডাক দেয় বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআই৷ যা ঘিরে দুপুরে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিং।
আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান এবং লাঠিচার্জ করে পুলিশ।আহত হন বেশ কয়েকজন বাম ছাত্র নেতা।আহত হন মিনাক্ষী মুখার্জী এবং দিপ্সীতা ধর। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় হয়। অনেকজনকে আটক করেছে পুলিশ।
যদিও এদিন বাম ছাত্র নেতৃত্বদের তরফে অভিযোগ, মহিলা পুলিশ ছাড়াও কেন তাঁদের ওপর হামলা চালানো হল।কলেজ স্কোয়ার থেকে শুরু হওয়ার পর মৌলালি হয়ে এসএন ব্যানার্জী রোডে প্রবেশ করার পরেই প্রথম ব্যারিকেড ভেঙে শুরু হয় মিছিল।
বাম-ছাত্র যুবদের নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ডোরিনা ক্রসিং। ছাত্র যুবদের নবান্ন অভিযানকে ছত্রভঙ্গ করতে নির্বিচারে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। আহত হন অনেকে। তাদের ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে।
এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানায় বাম-ছাত্র সংগঠনগুলি। আগামীকাল ১২ ঘন্টার বাংলা বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে বামেদের তরফে। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী।
তিনি বলেন, এরাজ্যে কারোর প্রতিবাদজ করার কোনো অধিকার নেই। সংবাদমাধ্যম থেকে ছাত্র যুব কেউই প্রতিবাদ করলে শাসকের রোষানল থেকে বাদ যায়না। একইসঙ্গে তিনি আহ্বান জানান বাংলার মানুষকে আগামীকালের বনধ কর্মসূচীতে শামিল হওয়ার জন্য।
তিনি বলেন, যারা তৃণমূল সমর্থক তাদের ঘরেও শিক্ষিত বেকার ছাত্র যুবদের কোনো কর্মসংস্থান নেই। আমি আহ্বান করছি আগামীকাল সমস্ত রাজনৈতিক দল নির্বিশেষে সকলেই যেন এই আন্দোলনে শামিল হন।