“আমি পুলিশের নিয়োগে হস্তক্ষেপ করি না, মানে করি না”, নিয়োগ অনিয়ম নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রী

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজ্য এই মুহূর্তে এসএসসি কাণ্ড নিয়ে উত্তাল। স্কুল শিক্ষক ও শিক্ষক কর্মচারীদের নিয়োগে আদৌ দুর্নীতি হয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখছে সিবিআই। কিন্তু এই নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য ঘিরে সরগরম রাজনৈতিক মহল। বিরোধীদের অভিযোগ পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন মেধাতালিকাকে উপেক্ষা করে তুলনায় অযোগ্যদের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল।

এক্ষেত্রে দফতরের কর্তাদের পাশাপাশি খোদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। কিন্তু তিনি যে কোনওরকম অনিয়ম সমর্থন করেন না তা ফের আরও একবার স্পষ্ট করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বৃহস্পতিবার পুলিশের পদক প্রদান অনুষ্ঠানে এসএসসি কাণ্ডের কথা উল্লেখ না করেই নিজের মনোভাব বুঝিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “পুলিশের নিয়োগের আমি কোনরকম হস্তক্ষেপ করি না, করি না মানে করি না।” মমতার আরও সংযোজন, গোটা বিষয়টি পুলিশের কর্তারা নিয়ম মেনে দেখে নেয়।

মন্ত্রিসভায় রদবদলে নাম কাটা পড়তে পারে অধিকারীদের আত্মীয় অখিল গিরির

বস্তুত এ যাবতকালে তৃণমূল সরকারের আমলে পুলিশে নিয়োগ নিয়ে তেমন কোনও অভিযোগ উঠতে দেখা যায়নি। তাই মুখ্যমন্ত্রী যে কোনও মনগড়া গল্প বলছেন না সেটা একরকম প্রমাণিত।

এক্ষেত্রে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা শিক্ষা দফতরের নাম তিনি টেনে না আনলেও মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা স্পষ্ট, মন্ত্রীরা দফতরের কাজ পরিচালনা করবেন। নতুন নতুন পরিকল্পনা আনবেন। কিন্তু কে কোথায় নিযুক্ত হবে সেই বিষয়টি নির্দিষ্ট আইন মেনে দফতরের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা সামলাবেন, সেখানে মন্ত্রীর কোন‌ও ভূমিকা থাকতে পারেনা।

স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে যে সরকারের মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতে থাকা দফতরের নিয়োগে কোনরকম নাক গলান না সে সরকারের কোন‌ও মন্ত্রী যদি অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন তার দায় নিশ্চয়ই কেবলমাত্র সেই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর‌ই। এর সঙ্গে গোটা মন্ত্রিসভা বা মুখ্যমন্ত্রী কোনোভাবেই জড়িত থাকতে পারেন না, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ। তবে বিরোধীরা যে ভিন্নমত পোষণ করবেন সেটাই স্বাভাবিক।

সম্পর্কিত পোস্ট