নন্দীগ্রাম থেকে শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও কমিশনের ভূমিকার সমালোচনা মমতার
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ নববর্ষের দিন রাজ্যের প্রথম শ্রেণির এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে ফের একবার কেন্দ্রীয় বাহিনী ও কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ওই সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ‘আমার বাহিনীর উপর সম্পূর্ণ ভরসা রয়েছে। কিন্তু এই বাহিনী নিয়ে আমার অভিযোগ রয়েছে। কারণ এটা হল অমিত শাহের পাঠানো ও কন্ট্রোল করা বাহিনী। গ্রামে গ্রামে গিয়ে, বিশেষ করে সীমান্তের এলাকাগুলিতে ভোটারদের ভয় দেখাচ্ছে, বলছে বিজেপিকে ভোট দাও। এই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে আমার অভিযোগ রয়েছে। এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে, আমার দলের ১৩-১৪ কর্মী মারা গিয়েছে। তিনজন প্রার্থীর উপর হামলা হয়েছে কিন্তু আপনারা দেখাচ্ছেন না, শুধুই ব্যাল্যান্স করছেন।’
এদিন বাহিনীকে ঘেরাও নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হয়। এর জবাবে স্পষ্ট ভাষায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘আমি ওই অর্থে বলেনি। দেখুন যে বাহিনীরা মহিলাদের ভয় দেখাচ্ছে, হেনস্থা কিংবা শ্লীলতাহানি করছে তখন মহিলারা কী করবে। আমি সেই অর্থে বলেছিলাম। দেখুন না, শীতলকুচিতে কি হল? জনগন হলেন গণদেবতা, জনতা জনার্দন। তাদের গুলি করে মারছে। বাহিনীর এই আচরণে আমি অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলাম।’
West Bengal Assembly Election 2021- দিলীপ ঘোষের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি কমিশনের
এরই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে ফের আক্রমণ করে মমতা জানিয়েছেন, ‘আজ আমাকে ২৪ ঘণ্টা ব্যান করা হয়েছে। গোটা দেশে কাউকে বলতে দেওয়া হয়না, মিডিয়াকে ভয় দেখানো হচ্ছে। ত্রিপুরাতে মানিক বাবুদের বলতে দেওয়া হয়না। গোটা দেশে শুধু আমিই লড়াই করছি বিজেপির বিরুদ্ধে। তাই আমাকে দমিয়ে রাখা হচ্ছে। কই মোদি-শাহকে ব্যান করা হচ্ছে না কেন? রোজ রোজ রাজ্যে এসে মিথ্যা কথা বলছেন। আমি যদি জানতাম অমিত শাহ, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ব্যান করা হয়েছে তাহলে বুঝতাম কমিশন নিরপেক্ষ। কিন্তুই কাকে না কাকে ব্যান করা হয়েছে, তার সঙ্গে আমার তুলনা করছেন কেন আপনারা।’
এদিন তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘নন্দীগ্রামে গিয়েই আমি জানতে পারি কেন্দ্রীয় বাহিনী ও বিজেপির নেতারা মিলে ছাপ্পা মারার প্ল্যান করেছে। যার জন্য বাধ্য হয়ে বয়ালের বুথে তিন ঘণ্টা বসেছিলাম। কেন? গ্রামের লোকেরা বলেছিল আমাকে ওখানে ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না আমাদের।অন্য জায়গায় ভোটে দাঁড়ালে হয়ত আরও বেশি ভোটে জিততাম কিন্তু নন্দীগ্রামে মানুষের আবেগে ও ভালোবাসায় ভোটে দাঁড়িয়েছি। ফলাফল বেরোলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।’