লাগামহীন আলু-পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি রুখতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি মমতার

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মূল্যবৃদ্ধির কারণে বাজার আগুন। আলু- পেঁয়াজ থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় দব্য সব কিছু কিনতেই নাভিশ্বাস উঠছে মধ্যবিত্তের। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ নিয়ে চিন্তিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

রাজ্য সরকারের তরফে যা করনীয় তা তিনি আগেই করেছেন। তাতেও দাম নিয়ন্ত্রণে আসছে না। সবচেয়ে বড় বিষয়, আলু পেঁয়াজ থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন থেকে বাদ দেওয়ায় কারণে কোনওভাবেই এগুলির দাম নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।

রাজ্য সরকারের তরফে টাস্কফোর্স ও এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের কর্তাদের নামিয়ে সরকার দেখেছে কেন্দ্রীয় আইনের সুযোগ নিয়ে বাড়ছে মজুতদারি। আর এর পেছনে কেন্দ্রের সংশোধিত আইন।

তাই ক্রমবর্দ্ধমান মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রের সহায্য চাইলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠি লিখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপ চাইলেন তিনি।

এদিন প্রধানমন্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রী যে চিঠি দিয়েছেন তাতে লেখা হয়েছে, কেন্দ্রের কৃষি আইন রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা না বলেই তৈরি করা হয়েছে।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/the-trinamool-demanded-to-confirm-the-names-of-the-migrants-in-the-voters-list/

এই কৃষি আইনের অত্যাবশ্যকীয় তালিকায় থাকা আলু, পেঁয়াজ ভজ্য তেলের মতো বিষয়গুলিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এই এগুলিকে অত্যাবশ্যকীয় তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার ফলে বাজার ওপেন হয়ে গিয়েছে।এর ফলে প্রতিদিন দাম বাড়ছে এই নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যগুলির।

নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম দাঁড়ায় মধ্যবিত্তের হেঁসেলে টানা পড়েছে। এমনিতে করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের হাতে অর্থ কম তার উপর মরার উপর খাড়ার ঘায়ের মতো কাজ করছে এই ঘটনাগুলি। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধ এই অবস্থায় সাধারণ মানুষের কথা ভেবে উদ্যোগী হোন।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দেন, কেন্দ্রের অত্যাবশ্যকীয় আইন সংশোধনের ফলেই চাল-ডাল-তেল ও আলু-পিঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। অবিলম্বে এর একটা সুরাহা হওয়া প্রয়োজন।

অনেক অসাধু ব্যবসায়ীই বেশি লাভের লোভে বেশি করে আলু-পিঁয়াজ মজুত করে কৃত্রিম অভাব তৈরি করছেন এবং পরে সময় বুঝে মাল বেশি দামে বাজারে ছাড়ছেন বলেও অভিযোগ তুলেছেন মমতা।

তিনি এ-ও মনে করিয়ে দিয়েছেন, এই মুহূর্তে নতুন আইনের ফলে কৃষিপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে রাজ্য সরকারের আর কোনও ভূমিকাই থাকল না।

মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় সরকারকে বলেছেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে সরকার যেন আলু-পিঁয়াজের সরবরাহ যথেষ্ট মসৃণ রাখে।তাঁর দাবি, রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করেই নয়া কৃষি আইন প্রণয়ন করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্তার পরিপন্থী। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন সংশোধনের ফলেও রাজ্যগুলির ক্ষমতা হরণ করা হয়েছে । নয়া আইন কৃষক ও সাধারণের স্বার্থবিরোধী ।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/odisha-fc-release-home-kit/

মমতার দাবি, মানুষ যাতে বাজারে সঠিক দামে জিনিস পান, তার জন্য অবিলম্বে রাজ্যগুলির ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হোক ।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠক থেকেই বিয়টি নিয়ে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সে সময়ই তিনি বলেছিলেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন। সেই মতোই এদিন তিনি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন।

সম্পর্কিত পোস্ট