হাল সামলাতে পরীক্ষিত ফর্মুলাই আঁকড়ে ধরতে চাইছেন মমতা

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি যেন সারদা কেলেঙ্কারির সেই দিন ফিরিয়ে এনেছে। সঙ্গে দোসর হয়ে জুড়ে বসেছে গরু পাচার ও কয়লা পাচারের অভিযোগ। সব মিলিয়ে বাংলার শাসক দলের অন্দরে আট বছর আগের মতো কাঁপুনি ধরে গিয়েছে। রোগের এই পরিচিত সিম্পটমের জন্য‌ই কী পরিচিত দাওয়াইয়েই ভরসা রাখতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

সারদা কাণ্ডের সময় সার্বিক চিটফান্ড কেলেঙ্কারির প্রভাব বাংলার জনমানসে ব্যাপক ছিল। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মুকুল রায় শেষ পর্যন্ত এই ধাক্কা সামলে নিয়েছিলেন। তৎকালীন বিরোধীপক্ষ হিসেবে বাম-কংগ্রেসের ব্যাপক আন্দোলন সত্ত্বেও ভোট বাক্সে তার বিশেষ প্রভাব পড়েনি। কিন্তু এবার পরিস্থিতি বিশেষ সুবিধার মনে হচ্ছে না।

৫৩০ বেসরকারি বিএড কলেজ থেকে টাকা তুলত মানিকের ছেলে!

বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের সংগঠন কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপ্রয়োগ নিয়ে ব্যাপক সোচ্চার। কিন্তু পরিস্থিতি মোকাবিলায় কৌশলের অভাব যেন বড্ড প্রকট। তার উপর যে প্রবীণ নেতারা মমতার এতোদিনের বিশ্বস্ত সঙ্গী ছিলেন, তাঁদের কারোর সঙ্গেই যেন অভিষেকের ঠিক বনিবনা হচ্ছে না। সেই সঙ্গে সাধারণ কর্মীদের ধরাছোঁয়ার বাইরে নিজেকে রেখে দিয়ে জেলায় জেলায় নিজের জনভিত্তি বিশেষ বাড়াতেও পারেননি অভিষেক।

সবমিলিয়ে মুকুলের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকের পর‌ই তৃণমূলের অন্দরে অভিষেকের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই মুহূর্তে দেশেও নেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন এই তৎপরতা অন্য অর্থ তৈরি করছে বৈকি।

সম্পর্কিত পোস্ট