বারাসাতের মেগাসিটি নার্সিংহোম সুনির্দিষ্ট হল কোভিড চিকিৎসায়
দ্য কোয়ারি ওযেবডেস্কঃ কোভিড পজিটিভ রোগীদের চিকিৎসার জন্য সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে বারাসাতের মেগাসিটি নার্সিংহোম।
স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশিকা উত্তর চব্বিশ পরগনার জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মারফত বারাসাতের মেগাসিটি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের হাতে এসে পৌঁছতেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি।
কার্যত কোভিড পসিটিভ রোগীদের বারাসাতের যশোর রোড লাগোয়া এই নার্সিংহোমে চিকিৎসা শুরু হওয়া সময়ের অপেক্ষামাত্র। যদিও রয়েছে আলোচনার অবকাশ।
উল্লেখ্য, মেগাসিটি নার্সিংহোমে কোভিড রোগীদের চিকিৎসার জন্য সাতটি আইসিসিইউ বেড, পাঁচটি এইচ ডি ইউ বেড ও চারটি ভেন্টিলেটর সহ মোট পঞ্চাশটি (৫0টি )শয্যার ব্যবস্থা থাকছে।
ঘনজনবসতিপূর্ণ এলাকায় মেগাসিটি নার্সিংহোম। কাছেই চাঁপাডালি মোড়। মাছের আড়ৎ ঢিল ছোড়া দূরত্বে। সাধারণ স্থানীয় মানুষের ক্ষোভ বিক্ষোভ কোন পর্যায়ে যেতে পারে তার চেয়েও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষর আশু চিন্তা কিভাবে সামগ্রিক চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে বিনা চিকিৎসায় এসএসকেএম থেকে ফিরল ৬ বছরের শিশু
বৃহস্পতিবার মেগাসিটি নার্সিংহোমে যথারীতি চলছে স্যানিটাইজেসনের কাজ। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ জানান, স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশিকার পরে তাঁদের ইচ্ছে অনিচ্ছার বিষয় গৌণ। তাঁরা চিকিৎসা পরিষেবা দিতে উদ্যোগী এবং মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক যেহেতু তাঁদের স্বাস্থ্য পরিষেবার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করেন তাই স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশ তাঁদের শিরোধার্য।
জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনা হলেও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ চিন্তিত তাঁদের হাতে থাকা রোগীদের জন্য এবার কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে সে বিষয়ে।
ডায়ালিসিস সহ বিভিন্ন জীবনদায়ী চিকিৎসা এই হাসপাতালে দেওয়া হয়। মাঝপথে তাঁদের চিকিৎসা বন্ধ করা অসম্ভব।অন্যদিকে স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মেনে কোভিড চিকিৎসার পাশাপাশি অন্য রোগের চিকিৎসা একই প্রেমিসেসে করা সম্ভব নয়।
বিকল্প পথের সন্ধান চান কর্তৃপক্ষ। মেগাসিটির আধিকারিক দিব্যেন্দু বসু জানালেন তাঁদের অতিরিক্ত কোনো স্থান নেই যেখানে অন্য রোগীদের চিকিৎসা হতে পারে।বিকল্প পথ খুঁজতে রাজ্য এক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত বাড়াবে, এমনটাই তাঁরা ভাবছেন।