সরকারে নেই দরকারে আছি….

পার্থ প্রতিম বিশ্বাস, রাজ্য সম্পাদক, পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি

১৭ই মে, ২০২০, ছত্রিশগড় থেকে বাংলায় ফিরে এলেন এ বাংলার কিছু পরিযায়ী শ্রমিক। তাদের একদল ছিলেন উত্তর ২৪ পরগণার হাবড়া ও বনগাঁ এলাকার বাসিন্দা।

মূলতঃ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শ্রী সোমেন মিত্র ও প্রদেশ যুব কংগ্রেস সহ সভাপতি শ্রী রোহন মিত্রের সার্বিক সহযোগিতাতেই এদের ঘরে ফেরা।

সর্বভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস সভানেত্রী শ্রীমতী সোনিয়া গান্ধীর ডাকে জাতীয় কংগ্রেস সারা দেশ জুড়ে দলীয় খরচে পরিযায়ী শ্রমিক সহ নানা কারণে ভিনরাজ্যে আটকে পড়া মানুষদের নিজ নিজ রাজ্য ও এলাকায় ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেয়।

তারই অঙ্গ হিসাবেই এই সব মানুষদের ঘরে ফেরানো হলো। হাবড়া ও বনগাঁয় নিজগৃহে ফিরতে পারা মানুষগুলো কোন দলের মতাদর্শ মেনে চলেন সেকথা জাতীয় কংগ্রেস নেতৃত্বের কেউ তাদের কাছে জানতে চাননি।

জানতে চাননি তারা আগামীদিনে জাতীয় কংগ্রেসের সাথে থাকবেন কিনা। শুধু মায়ের কোলে সন্তানদের ফিরিয়ে দিয়েই দল তার কর্তব্য পালন করেছে। ফিরে আসা মানুষগুলোর উচ্ছাস বলে দিচ্ছিলো, তারা খুশি।

আম্ফান নিয়ে অমিত শাহের বৈঠক , রাজ্যকে অন্ধকারে রেখেই রেসিডেন্ট কমিশনারকে ডাক, অসৌজন্য দেখছেন মমতা

এই জেলার একজন বাসিন্দা হিসাবে আমি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শ্রী সোমেন মিত্রকে ধন্যবাদ ও প্রনাম জানাই।  এই কাজে আরও একজন নিরব সৈনিক হলো রোহন মিত্র।

জানিনা, ভবিষ্যতের রাজনৈতিক লড়াইয়ে কি হবে, তবে এই দুঃসময়ের লড়াইয়ে মানসিকতা ও মানবিকতা দেখানোর ক্ষেত্রে ক্ষমতাবান ও স্বঘোষিত যুবরাজদের অন্তত দশ গোল খাইয়ে দিলো রোহন ( Rohan S Mitra)।

স্বভাব লাজুক ও প্রচার বিমুখ রোহন য়েভাবে রাজ্যের মানুষের জন্য প্রতিদিন লড়াই করছে সে জন্য ওকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ ও ভালোবাসা।

এই রাজ্যে প্রতিনিয়ত ঘটা নানা খারাপ ঘটনা শুনে ও দেখে আমরা যখন আশাহত ও হতাশ হয়ে পড়ি তখন রোহনের মতো ছেলেরা মানবসেবায় ঈশ্বরের দূত হিসাবে এগিয়ে এসে প্রমান করে, এখনোও মান আর হুঁস মিলিয়েই মানুষ হয় এবং সেই মানুষরা আজও আছে।

খুব গর্ব হচ্ছে রোহনের জন্য। এ বাংলাকে সঠিক দিশা দেখাতে নেতা হিসাবে রোহনরা রাজ্যবাসীর আশীর্বাদ পাবে,এটুকুই কামনা।

সম্পর্কিত পোস্ট