‘দুর্গাপুজোর একাল-সেকাল’- কলমে প্রদ্যুৎ ঘোষ
করোনা কালে ত্রস্ত গোটা বিশ্ব। কেমন ছিল ছেলেবেলার পুজো? কেমন ভাবেই বা কাটালেন করোনা আবহে দুর্গাপুজো? শেষলগ্নে পুজো সংখ্যার বিশেষ প্রতিবেদনে কলম ধরলেন অনেকেই।
প্রদ্যুৎ ঘোষ, বিধায়ক, নারায়ণগড়(পশ্চিম মেদিনীপুর)
একটু একটু করে সারা বছরে জমানো অর্থ পুজোতে খরচ করে বাঙালি। কিন্তু এবারের শ্রেষ্ঠ উৎসবে একটু করে আনন্দ জমা হলেও সেটা বহিঃপ্রকাশের অবকাশ থাকবে না।
কারণ, এমন একটা সময়ে আমরা উপস্থিত হয়েছি কার শরীরে রোগ লুকিয়ে রয়েছে জানা দুষ্কর। যতই স্বাস্থ্যবিধির কথা বলা হোক, শারীরিক দুরত্ব বজায় রাখা সবচেয়ে কঠিনতম ব্যাপার। নতুন করে নিউ নর্ম্যালে জনসভা করার সময় আমরা নিজেরা দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলি। কিন্তু আদতে তা হয় না।
ফলে উৎসবের মাঝে করোনা আতঙ্ক থাকছেই। আর লকডাউনে মানুষের যা আর্থিক পরস্থিতি তাতে এবারের পুজোতে চাকচিক্য কম থাকবে। তবে পুজো কমিটিগুলির জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত অনুদান কিছুটা সাহায্য করবে। খোলামেলা প্যান্ডেলে চেষ্টা করা হবে যতটা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা যায়।
আমরা নিজেরাও উদ্যোগ নিয়ে চেষ্টা করছি কিভাবে মানুষের পাশে থাকা যায়। যাতে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় থাকে। কারণ এই পুজোর সঙ্গে বাঙালির সেন্টিমেন্ট জড়িয়ে রয়েছে।
এবারের পুজোতে আড্ডা আর খাওয়াদাওয়া মিস করবো। এবারের পুজো মন্ডপে খাওয়াদাওয়া ব্যাপারটা অনেকেই প্যাকেট সিস্টেমে রাখতে চাইছেন। ফলে একসঙ্গে বসে সেই খিচুড়ি খাওয়ার মজাটা আর থাকছে না। একসঙ্গে বসে জমিয়ে হৈ-হুল্লোড় আর হবে না।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/shubal-bhowmik-wrote-about-durgapuja-experience-2020-covid-situation/
আগে পুজোতে নিজের মতো করে ঘুরতে পারতাম কোনও দায়বদ্ধতা ছিল না। কিন্তু রাজনীতিতে পা দেওয়ার পর থেকে প্রত্যেক বছরেই বেশ কিছু পুজোমন্ডপ উদ্বোধন করতে গিয়ে নিজেকে কম সময় দেওয়া হয়। তবে আনন্দ বিন্দুমাত্র কম হয় না।
ইয়ং জেনারেশনের জন্য খারাপ লাগছে। অনেকেই বলছে যদি পরিবারের কেউ আক্রান্ত হয়, সেই ভয়ে পুজোতে বের হবে না। পুজোটা তো ওদের জন্য। ফলে আনন্দের রঙ ফিকে হয়ে যাবে।
তাই মা দূর্গার কাছে প্রার্থনা করি, এবার মর্তে এসে এই মারন রোগকে যেন মুছে দেন। সবাই যেন আগের মতো সুষ্ঠভাবে জীবনযাপন করতে পারেন, দুহাত তুলে সেই আশীর্বাদ করুন।