অবিলম্বে সমস্ত শহর বন্ধ করে দেওয়া হোক, কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানালেন পি চিদম্বরম

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দেশজুড়ে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই মুহূর্তে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬৬ জন। সরকারী সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে ভারতে স্টেজ-টুতে রয়েছে কোভিড-১৯।

কোনওভাবেই কোনও সম্প্রদায়ের মধ্যে এই ভাইরাস যাতে না ছড়িয়ে পড়ে তার জন্য সর্বদা সতর্কতা জারি রেখেছে প্রশাসন। এরই মধ্যে গোটা দেশকে এই বিপর্যয়ের হাত থেকে মুক্ত করতে কেন্দ্রের কাছে সমস্ত শহর বন্ধ রাখার আর্জি জানালেন প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম।

আরও পড়ুনঃ করোনা আতঙ্ক, নিরুপায় শাখের করাত দেশের দরিদ্র মানুষ

সারা দেশজুড়ে যেভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে তা থেকে বাঁচতে আগামী ২ থেকে চার সপ্তাহ দেশের সমস্ত শহর বন্ধ রাখার আর্জি জানালেন চিদম্বরম। বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়, সংক্রমণ বাড়তে শুরু করলে কোনরকম কোনও দ্বিধা না করেই সেই দেশের উচিত প্রায় ২ থেকে ৪ সপ্তাহ দেশের সমস্ত শহর বন্ধ রাখা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে এই বার্তা দেওয়ার পরেই টুইটারে সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

 

তিনি আরও বলেন, ইতালি, ইরান এবং স্পেনের ঘটনা আমরা দেখেছি। যেভাবে একের পর আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে সরকারের উচিত সমস্ত শহরগুলিকে আগামী ২ থেকে ৪ সপ্তাহের জন্য বন্ধ রাখা।

ভারতে মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ এবং কেরালায় সর্বাধিক করোনা আক্রান্তের দেখা মিলেছে। নতুন করে নয়ডায় এক জনের দেহে কোভিড-১৯ এর দেখা মিলেছে।

আরও পড়ুনঃ করোনা, বুজরুকিতে নয় আস্থা রাখুন চিকিৎসায়

সূত্রের খবর, ইন্দোনেশিয়া ফেরত ওই যুবকের দেহে করোনাভাইরাসের দেখা মেলায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বেড়েছে। গ্রেটার নয়ডার গভর্মেন্ট ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সে ওই যুবকের চিকিৎসা চলছে।

 

এই মুহূর্তে নয়ডায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪ জন। আগামী ৫ এপ্রিল অবধি নয়দায় সমস্ত জমায়েত বন্ধ রাখা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। হাসপাতালগুলিতে আইসোলেশন ওয়ার্ডের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।

অন্যদিকে তামিলনাড়ুতে আরও এক যুবকের দেহে করোনাভাইরাসের খোঁজ মিলেছে। সূত্রের খবর কিছুদিন আগেই দিল্লি ফিরেছিলেন যুবক।

পরে জ্বর নিউমোনিয়া সংক্রমণ নিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করার পর যুবকের দেহে কোভিড-১৯ ধরা পড়ে। যদিও যুবকের অবস্থা এখন স্থিতিশীল বলে জানিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।

সম্পর্কিত পোস্ট