পঞ্চায়েতে গোড়াতেই পিছিয়ে পড়বে বিরোধীরা? ভোটার তালিকা সংশোধনে বেহাল অবস্থা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ কলকাতার পাশাপাশি জেলাতেও বিরোধীদের কর্মসূচিতে উপচে পড়ছে ভিড়। বামেদের তো বেশ জঙ্গি মেজাজে দেখাও যাচ্ছে। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় বাম-রাম দুই বিরোধীরা সমান সক্রিয়। কিন্তু বুথ স্তরে সাংগঠনিক কাজ করার লোক পাচ্ছে না কেউ। ফলে পঞ্চায়েত ভোটে ফের তৃণমূলের কিস্তিমাতের সম্ভাবনা বাড়ছে।
কী হয়েছে? আগামী ৯ নভেম্বর থেকে ৮ ডিসেম্বর রাজ্যজুড়ে বুথে বুথে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ চলবে। এর মধ্যে ১২, ১৩, ১৯, ২০, ২৬, ২৭ নভেম্বর ও ৩, ৪ ডিসেম্বর, এই আট দিন রাজনৈতিক দলগুলোর বুথ এজেন্টরা বিএলও-দের সামনে বসে ভোটার তালিকায় নাম তোলা ও বাদ দেওয়ার কাজ করতে পারবে বলে জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
প্রায় প্রতি মোটেই দেখা যায় অনেক জীবিত ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে, বা অনেক মৃত ভোটারের নাম তালিকায় আছে। গোটাটাই এই পর্বের কারসাজি।
বিজেপি নয়, কেজরিওয়ালরা জিতিয়ে দিচ্ছে আরএসএস-কে!
এই পর্বের উপর ভিত্তি করে ৫ জানুয়ারি পঞ্চায়েত ভোটের জন্য ভোটার তালিকা ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, বিজেপি ও সিপিএম, দুই যুযুধান বিরোধী দলই সর্বত্র বুথ এজেন্ট পাচ্ছে না। ফলে শাসকদল ভোটের আগেই ফাঁকা ময়দান পেয়ে আসল জায়গায় ‘ইঞ্জিনিয়ারিং’ করে দিতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা। যে অভিযোগ একসময় সিপিএমের বিরুদ্ধে উঠত।
এদিকে এই পর্বে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বিজেপির। না তাদের বুথে বসার মতো লোক আছে, না তারা জানে কীভাবে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ করতে হয়। তুলনায় মন্দের ভালো জায়গায় সিপিএম। তাদের সমস্যাটা হল, বুথে পর্যাপ্ত লোক থাকলেও সকলে আট দিন এই কাজ করতে চাইছে না।
এমনিতে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজে ধৈর্য্য শক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বহু বিরোধী কর্মীর সেই ধৈর্যটাই নেই। এই অবস্থায় ভোটার তালিকা সংশোধনের সময় সর্বত্র এজেন্ট দিতে না পারলে ২৩ এর পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধীরা গোড়াতেই পিছিয়ে পড়বে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা।