Trade Union strike:বামেদের ডাকা ধর্মঘটে আজ দ্বিতীয় দিন, বিভিন্ন পরিষেবা বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা মানুষের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক: গত 28 শে মার্চ এবং আজ 29 শে মার্চ সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন ও ফেডারেশন সমূহ। 12 ই মার্চ অর্থাৎ শনিবার বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু “জনগণকে বাঁচাও এবং জাতিকে বাঁচাও” শীর্ষ কর্মসূচি নিয়ে একটি প্রেস বিবৃতির মাধ্যমে 12 দফা দাবিতে দুদিন যাবৎ এই সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন।
Bogtui massacre: বগটুইয়ে পুলিশের দায়ের করা এফআইআর নিয়ে একাধিক প্রশ্ন, খতিয়ে দেখছে সিবিআই
কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির প্রতিবাদে ডাকা ধর্মঘটের আজ দ্বিতীয় দিন এবং মানুষের আশঙ্কা যে আজও গণপরিবহন ব্যাংকিং এবং বিভিন্ন পরিষেবার ব্যাঘাত ঘটতে পারে যদিও জ্বালানি,বিদ্যুৎ এবং স্বাস্থ্যসেবার মত গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা গতদিনের তুলনায় বেশি সচল থাকবে। ট্রেড ইউনিয়নগুলি বিভিন্ন যৌথ ফোরামে বলেছে যে, কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির বিরুদ্ধে ডাক দেওয়া দুদিনের ধর্মঘটের প্রভাব প্রায় ৮ টি রাজ্যে পড়েছে তবে সূত্রের খবর সরকারি অফিস এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ধর্মঘটের কোনো প্রভাব পড়েনি।
কেন্দ্রের জনবিরোধী, শ্রমিক বিরোধী, কৃষক বিরোধী নীতির বিরোধিতা করেই এ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছিল। রাজ্য সরকারের মতে এই বন্ধের প্রভাব রাজ্যে তেমনভাবে পড়েনি। বন্ধের দিন জনজীবন যাতে সচল থাকে তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলেই দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এমনকী রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল,যে বন্ধের দুটো দিন বেসরকারি অফিস,সরকারি অফিস এবং সরকারি নিয়ন্ত্রণাধীন অফিসে সমস্ত কর্মচারীদের উপস্থিত থাকতেই হবে।
বন্ধের দুদিন কোন কর্মী গরহাজির থাকলে তার বেতন কাটা যাবে সঙ্গে তার কর্মজীবনে ছেদ পড়বে অর্থাৎ জরুরি অবস্থা ছাড়া কোনভাবেই কোন কর্মচারী ছুটি নিতে পারবেন না। অবশ্য ট্রেড ইউনিয়ন গুলো বিভিন্ন প্রেস বিবৃতির মাধ্যমে জানাচ্ছে, যে প্রায় ৮টি রাজ্য যেমন অন্ধ্রপ্রদেশ, পুদুচেরি, ওড়িশা, আসাম, তেলেঙ্গানা, তামিলনাড়ু কেরালা, ঝাড়খন্ড এবং হরিয়ানায় বন্ধের বেশ অনেকটা প্রভাব পড়েছে। এছাড়া মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, গোয়া, মেঘালয়, বিহার, পাঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গের মত রাজ্যেও ধর্মঘট সংক্রান্ত বিভিন্ন আন্দোলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল গত সোমবারে যেমন সিপিএমের বিরুদ্ধে কোচবিহারে সরকারি বাস ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠে এসেছিল সঙ্গে কিছু দোকানপাট জবরদস্তি বন্ধ করার অভিযোগও। সেই তুলনায় মঙ্গলবার বন্ধের প্রভাব যথেষ্ট কম বলেই শোনা যাচ্ছে।