একাধিক বিজেপি বিধায়ক ও সাংসদের কাছে ফোন – “তৃণমুলে আসুন”
দ্য কোয়ারি ডেস্ক: ৩ বছর ৯ মাস পর তৃণমূলে ফিরেছেন মুকুল রায়। তৃণমূলে ফেরার পর থেকেই তাঁর কাজ তিনি শুরু করে দিয়েছেন মুকুল। ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর শুক্রবার রাত থেকেই মুকুল রায় রাজনৈতিক মানচিত্র রোডম্যাপ পরিবর্তন করতে উঠেপড়ে লেগেছেন।
শুক্রবার বারবেলায় হঠাৎ এ খবর ছড়িয়ে পরে, ফের ঘরওয়াপসি হতে চলেছে মুকুলের। খবর ছড়িয়ে পড়তেই মুহূর্তের মধ্যে স্তম্ভিত হয়ে পড়েন বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বরা। কারণ তৃণমূলে মুকুল ফেরার কোন ইঙ্গিত বোধহয় তাদের কাছেও ছিল না।
যদিও পরবর্তীতে জানা গেছে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছিল বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই। বাকিটা চলছিল শুধু সঠিক সময়ের অপেক্ষা। শুক্রবার রাত থেকেই মুকুল রায় এদিক ওদিক ফোন করতে শুরু করে দিয়েছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন বিজেপির ১০ জন বিধায়ক এবং বেশ কয়েকজন সাংসদ। এছাড়াও অনেকেই রয়েছেন যারা নির্বাচনের আগে শিবির বদল করেছিলেন। কেউ কেউ মুখে কুলুপ এঁটে থাকলেও অনেক বিক্ষুব্ধ নেতৃত্বরা তৃণমূলে আসার কথা অলরেডি বিজেপি নেতৃত্বদের কর্ণকুহরে পৌঁছে দিয়েছেন।
যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংবাদিক বৈঠকে জানাচ্ছেন “আরও অনেকে আসবেন ” , তখন প্রশ্ন উঠছে সেই তালিকায় রয়েছেন কারা? তবে তিনি এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন যারা নির্বাচনের আগে শিবির বদল করেছিলেন অথচ নরমপন্থী মনোভাব দেখিয়েছেন একমাত্র তাদেরকেই জায়গা দেওয়া হবে। বাকি চরমপন্থী বিরোধিতা যারা করেছেন তাদের আর ফিরিয়ে নেবে না তৃণমূল কংগ্রেস।
সে তালিকায় প্রথমেই নাম উঠে আসছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ইতিমধ্যেই কুণাল ঘোষের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকার সেরে ফেলেছেন তিনি তবে তৃণমূলে ফিরে আসার বিষয়ে এখনই কিছু জানাননি।
রাজনৈতিক মহলের মতে এই মুহূর্তে ৭৪ জন বিধায়ক রয়েছেন বিজেপি শিবিরে। তাদের মধ্যে কতজন তৃণমূল শিবিরে নাম লেখায় এখন সেটাই জল্পনা। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে যে মুকুলের হাত ধরে ২ থেকে ১৮ পেয়েছিল বিজেপি সেই মুকুলই এখন বাংলার মাটি থেকে বিজেপিকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার কাজ শুরু করবেন তা স্পষ্ট।
একই সঙ্গে এটাও স্পষ্ট মুকুল-শুভেন্দু ঠান্ডা লড়াই বর্তমানে অব্যাহত।২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে যখন তিনি দলত্যাগের কথা জানিয়েছিলেন তখন অন্যতম কারণ ছিল শুভেন্দু অধিকারী। তবে বিজেপি ত্যাগের পর তিনি প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও মুকুল-শুভ্রাংশু ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে শুভেন্দুর ঔদ্ধত্য এবং ডোন্ট কেয়ার অ্যাটিটিউড বিরক্ত হয়ে একপ্রকার দল থেকে সরে গিয়েছেন মুকুল।
আর কিছুদিনের মধ্যেই হয়তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অফিশিয়ালি কোন পদে বসাবেন মুকুল রায়কে। তবে তার আগে থেকেই তিনি শুরু করে দিয়েছেন তাঁর কাজ। এই কাজের প্রথম প্রতিফলন ঘটবে পৌরসভা নির্বাচনে এবং তারপর২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে।