নাগাড়ে দাম বাড়ছে, আলুর মূল্য নিয়ন্ত্রণই এখন চিন্তার বিষয়

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ করোনা বিপর্যয়ের বছরের প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘনঘটা। প্রথমে আমফান, তারপর নিম্নচাপের টানা বৃষ্টি, এখন আবার রাজ্যে বন্যার পরিস্থিতি-সব মিলে একটা না একটা লেগেই আছে। মানুষ খাবে না বাঁচবে সেই নিয়ে রয়েছে সংশয়। আর এরমধ্যে হুহু করে বেড়ে চলেছে আলুর দাম।

এমাসের শুরুতে ২৬ টাকা কেজি ছিল জ্যোতি আলুর দাম। আজকের দিনে সেটা ছয় টাকা বেড়ে হয়েছে ৩২ টাকা প্রতি কেজি। চন্দ্রমুখী আলুর দামও ছয় টাকা প্রতিকেজি বেড়ে ২৮ টাকা থেকে হয়েছে ৩৪ টাকা।

গত ৭২ ঘণ্টায় বাজারে প্রতি বস্তা জ্যোতি আলুর দাম ১৫০ টাকা বেড়েছে। সরকারের হাজার চেষ্টা সত্ত্বেও নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছেনা আলুর দাম। আর এর প্রকোপ সরাসরি গিয়ে পড়ছে সাধারণ মানুষের ওপর।

এক এতেই করোনার কারণে সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা ক্রমেই তলানিতে ঠেকেছে। তার উপর নাগাড়ে মূল্যবৃদ্ধি তাদের নাভিশ্বাস তুলছে।আর এর মধ্যে সবচেয়ে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আলুর দামের ঊর্ধ্বগতি।

আলুর দাম এভাবে চড়চড় করে বেড়ে যাওয়ায় চিন্তায় মাথায় হাত মধ্যবিত্তদের। সবজির দেখা নেই, আর এরমধ্যে আলুর দাম বাড়াতে চিন্তায় বাংলার আম জনতা।

দক্ষিনবঙ্গে প্রথমের দিকে বৃষ্টি না হলেও, এখন চারিদিকে একেবারে ঢেলে দিচ্ছে আকাশ। আর এই অতিবৃষ্টির ফলে সবজির চাষ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর বৃষ্টি এবং বন্যার কারণেই বাজারে সবজির দেখা নেই।

সোমেনের পর পরবর্তী প্রদেশ সভাপতি কে? অভিজ্ঞের খোঁজে কংগ্রেস হাইকমান্ড

সবজি বাদে মানুষ যে আলু খাবে, সেটারও জো নেই। কারণ প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে আলুর দাম। সরকার থেকে ২৫ টাকা কেজি দাম বেঁধে দেওয়ার পরেও নিস্তার নেই আম জনতার।

রাজ্যে আলুর ফলন কম আর তাঁর মধ্যে ছত্তিসগড়, অসম, উড়িষ্যা, অন্ধ্রপ্রদেশ আর মধ্যপ্রদেশে আলুর রফতানি হওয়াতে চাহিদা বাড়ছে। কিন্তু চাহিদা বাড়লেও যোগান বাড়ছে না। আর সেই কারণে বাড়ছে দাম।

আলুর ব্যবসায়ীরা বলছেন, আপাতত দাম কমার কোন সম্ভাবনা নেই। নতুন আলুর ফলন হতে এখনো চার পাঁচ মাসে। আর এভাবে যদি বৃষ্টি চলতে থাকে অন্য সবজিও পাওয়া যাবে না। তাই তাদের ভরসা বলতে আলু। এখন দেখার কত দিনে আলুর দামের এই ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রনে আনা যায়।

সম্পর্কিত পোস্ট