ফের চালু হতে চলেছে ডবল ডেকার ট্রেন: রেল মন্ত্রক
দ্য কোয়ারি ওয়েব ডেস্ক: রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দোপাধ্যায় চালু করেছিলেন দোতলা বা ডাবল ডেকার ট্রেন। যদিও নানা কারণে সেই ট্রেন চলাচল লাভজনক হয়নি। বন্ধ করে দেওয়া হয় সেই ট্রেন চলাচল।
পরবর্তী সময়ে রেল মন্ত্রকের কর্তারা ডাবল ডেকার ট্রেন চালানো আদৌ যুক্তিযুক্ত হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন।
যদিও ফের ডাবল ডেকার ট্রেন চালু করতে চলেছে ভারতীয় রেল। শীঘ্রই দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ, ব্যস্ত রুটে এই ট্রেন চালানো হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কপুরথালা রেল কোচ ফ্যাক্টরি তৈরি করেছে অত্যাধুনিক এই ডাবল ডেকার ট্রেন। নয়া এই ট্রেনে থাকছে মোট ১২০টি বসার আসন, কোচ পিছু।
উপরের তলায় বসতে পারবেন ৫০ জন যাত্রী। নিচে বসতে পারবেন ৭০ জন যাত্রী।
আপাতত রেল মন্ত্রক সূত্রে খবর, সেমি হাইস্পিড রুটে এবার চলবে দো-তলা ট্রেন। এই ট্রেন সর্বাধিক ১৬০ কিমি গতিতে ছুটতে সক্ষম হবে।
এভাবেই এই ট্রেনের নকশা তৈরি করছে কপূরথালা রেল কোচ ফ্যাক্টরি বা আরসিএফ। যাত্রীদের কথা মাথায় রেখেই এই ট্রেনের অন্দরসজ্জা করা হয়েছে।
থাকছে স্লাইডিং ডোর, জিপিএস ভিত্তিক প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন সিস্টেম মতো সমস্ত ব্যবস্থা। এছাড়া খাবার সরবরাহ করার জন্যে থাকবে প্যান্ট্রি কার।
রেল যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য রাখা হয়েছে সিসিটিভি। সাথে ফায়ার এবং স্মোক ডিটেকশনের ব্যবস্থা। লাল-হলুদ রঙের এই ট্রেন সেট ইতিমধ্যেই বানানো হয়ে গেছে। চলছে টেস্ট রান।
বেশ কয়েকবছর আগে ২০০৯ সালে চালু হয়েছিল ডাবল ডেকার ট্রেন। এই হাওড়া থেকে ধানবাদ অবধি রুটে চলত এই ট্রেন। যদিও এই ট্রেন চালাতে গিয়ে প্রথমেই হোঁচট খেতে হয়েছিল পূর্ব রেলকে।
কারণ, প্ল্যাটফর্মের গায়ে লাগতে শুরু করে ট্রেনের একটা অংশ। প্রচন্ড গতিতে যাওয়ার সময়ে এই ঘর্ষণের কারণে দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা ছিল। পরে বেশ কিছু স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের ধারের অংশ কেটে ফেলা হয়।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/atk-mohunbagan-and-kerala-blasters-will-face-on-first-match-of-isl-2020/
তবে ধীরে ধীরে যাত্রীর অভাবে বন্ধ হয়ে যায় ডাবল ডেকার ট্রেন। বেশ কয়েকটি রুটে এই ট্রেন পাঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যদিও তা হয়নি শেষ অবধি।
এখন এই নয়া ডাবল ডেকার ট্রেন কতটা লাভজনক হয় সেটার দিকে চেয়ে রেল বিশেষজ্ঞরা।