বাংলার গণ্ডি পেরিয়ে পড়শী ত্রিপুরায় ঘাসফুল চাষে মরিয়া TMC , হঠাৎ হাজির রাজীব !
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক :প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে ত্রিপুরায় ক্ষমতা হারিয়েছে বামেরা। কার্যত উল্কা গতিতে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি।
২০২৩ সালে ফের ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোট। তার আগে বাংলার গণ্ডি পেরিয়ে প্রতিবেশী রাজ্যে জমি তৈরি করতে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস।
শুক্রবার ত্রিপুরায় তৃণমূলে যোগ দেন এক যুবনেতা-সহ ৩০ জন কংগ্রেস কর্মী। যোগদানকারী কংগ্রেস কর্মীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন ব্রাত্য বসু, শান্তনু সেন।
ত্রিপুরার কোনও বাম নেতা-কর্মী তৃণমূলে আসতে চাইলে স্বাগত। মন্তব্য করেন ব্রাত্য বসু।
এদিন আগরতলায় সিপিএম ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিছিল করে ত্রিপুরা বিজেপি। ওঠে সিপিএমের বিরুদ্ধে শ্লোগান।
এই পরিস্থিতিতে ১৬ ই আগস্ট ত্রিপুরায় খেলা হবে দিবস পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাজির থাকবেন তৃণমূলের সমস্ত সাংসদরা। এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলের তরফে। ইতিমধ্যেই ৮ জন সাংসদ ত্রিপুরায়। সঙ্গে রয়েছেন এ রাজ্যের মন্ত্রীরা।
সরগরম রাজনৈতিক ডামাডোলে সকলের নজর এড়িয়ে ত্রিপুরায় হাজির হয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তিনি বলছেন সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত কারণেই ত্রিপুরা আগমন তাঁর। এর সঙ্গে রাজনীতি না মেশানোই ভাল।
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, গোটা বিষয়টি কাকতালীয় কখনই নয়। রয়েছে রাজনৈতিক সূক্ষ অভিসন্ধি। আগরতলার মাটিতে পা রেখেই ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিয়ে পড়শী রাজ্যের রাজনৈতিক পরস্থিতি বুঝতে চাইছেন তিনি।
উল্লেখ্য, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে ফেরা শুধু সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছেন অনেকে। তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেকের সঙ্গে ক্যামাক স্ট্রীটে ৩০ মিনিট বৈঠক করেছেন তিনি। তারপরই জল ক্রমশ ঘুরতে শুরু করেছে । এখন দেখার আদৌ এই জল্পনা কতটা বাস্তবে সম্ভব হয়।