লকডাউনে বন্ধ স্কুল, বাড়ি বাড়ি পড়ুয়াদের পড়াচ্ছেন শিক্ষক, মাসিক বেতনে কিনে দিচ্ছেন বই-খাতাও
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ লকডাউনে স্কুল বন্ধ প্রায় দেড় বছর হতে চলল। পড়ুয়ারা যাতে পিছিয়ে না পড়েন এবার তাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের পড়াতে শুরু করলেন মাস্টারমশাই। শুধু তাই নয়, নিজের মাসিক বেতনের অর্থ দিয়ে দুস্থ মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের সাহায্যও করছেন তিনি। এই কঠিন আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতিতে মাস্টারমশাইয়ের এহেন সহযোগীতায় আপ্লুত ছাত্রছাত্রীরা।
তিনি বসিরহাট মহকুমার অন্যতম প্রাচীন বসিরহাট হাইস্কুলের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক সিঞ্চন বন্দ্যোপাধ্যায়। লকডাউনের পর থেকে বিগত আট মাস ধরে দুস্থ ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। সিঞ্চন বাবু স্কুল বন্ধ থাকার পর থেকে শতাধিক দুঃস্থ ও মেধাবী ছাত্রদের বাড়ি গিয়ে তাদেরকে বিনা পয়সায় শিক্ষা দান করছেন।
অন্যদিকে যারা বই খাতা পেন কিনতে পারছে না, এমনকি প্রতিদিনের শিক্ষাদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে- সম্পূর্ণ নিজের উদ্যোগে বিনা পারিশ্রমিকে শিক্ষার পাঠ দিচ্ছেন তাদের। করোনা মহামারী জন্য তাদের হাতে স্যানিটাইজার, মাস্ক, বিস্কুট, শুকনো খাবার তুলে দিচ্ছেন তিনি।
হেস্টিংসের কার্যালয়ে শুরু বৈঠক, গরহাজির রাজীব-কৈলাশ
কখনো সাইকেল চড়ে আবার কখনো পায়ে হেঁটে। একাই পৌঁছে যাচ্ছেন ছাত্রদের বাড়ি বাড়ি। পঞ্চম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত মহকুমার বিভিন্ন স্কুলের যেসব দুস্থ ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী আছে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে এক অনন্য নজির গড়ছেন এই শিক্ষক।
শিক্ষকের এই ধরনের কাজের অভিভূত অভিভাবক থেকে শুরু করে ছাত্রছাত্রীরা। সমাজ তৈরীর কারিগর যদি এইভাবে দুস্থ ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে এসে দাঁড়ায় তাহলে আগামী দিনে নতুন প্রতিভা তৈরি হবে এমনটাই মনে করছেন শিক্ষক মহল।
সিঞ্চন বাবু বলেন, গত দেড় বছর ধরে স্কুল বন্ধ। পঠনপাঠন একপ্রকার বন্ধই বলা যায়। কারণ অনলাইনে ক্লাস করার মত পরিকাঠামো সকলের নেই। তাইবলে শিক্ষাথেকে শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে থাকবে, তা তো হয়না। তাই যতটা সম্ভব ওদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি।