ইয়েমেনের নতুন সরকারের আসার পরেই ভয়াবহ বিস্ফোরণ

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বুধবার ইয়েমেনের আদেন শহরের একটি বিমানবন্দরে বিস্ফোরণে মৃত প্রায় ১৩ জন। সৌদি আররে নতুন সরকার গঠনের পর তাঁদেরকে ইয়েমেন আনার পথেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনার পিছনে ইরান সমর্থিত জঙ্গি সংগঠন হুথির হাত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

ঘটনায় প্রায় ৬০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। যদিও সরকারের মন্ত্রীদের কোনও ক্ষতি হয়নি বলে সংবাদসংস্থা এএফপি সূত্রের খবর। বিমানবন্দরের টার্মিনালে ঘটে বিস্ফোরণ।

সংবাদসংস্থা এএফপি সূত্রের খবর, মন্ত্রীসভার সদস্যরা বিমান থেকে নামার পথেই জোড়া বিস্ফোরণ ঘটে। এদিনের দুই জড়ালো বিস্ফোরণে শহরের দক্ষিণ অংশ ধোঁয়ায় ভর্তি হয়ে যায়। বিরাট অংশে ছাইয়ের আস্তরণে ঢেকে যায়। নতুন সরকারের মন্ত্রীদের সদস্যদের স্বাগত জানাতে যারা উপস্থিত ছিলেন তাঁরা ভীষণভাবে আতঙ্কিত হন। এরপরেই শুরু হয় গুলিবর্ষণ। তখনও অবধি বিস্ফোরণের কারণ কি ছিল তা স্পষ্ট করে জানা যায়নি।

 

উত্তর ইয়েমেনের বেশ কিছু অংশ সহ সানা কব্জা করে রেখেছিল হুথি। তাঁদেরকে উচ্ছেদ করতে ১৮ ডিসেম্বর ইয়েমেনে আন্তর্জাতিক স্বীকৃত এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলি মিলিত সংগঠন সৌদি আরব থেকে সরকার গঠন করে বিমানে ইয়েমেন পৌঁছানোর পরেই ঘটে বিস্ফোরণ।

ইয়েমেনের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী মোয়াম্মার আল-ইরিয়ানি জানিয়েছেন, নয়া সরকারের সমস্ত মন্ত্রী সুরক্ষিত রয়েছেন। ইরান সমর্থিত জঙ্গি সংগঠন হুথিরা কখনওই তাঁদের দেশের কর্তব্য পালনে বাধা দিতে পারবে না।

আরও পড়ুনঃ বছর শেষে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে করোনার নতুন স্ট্রেন, ব্রিটেন থেকে ফিরেছে ৪ হাজারের বেশী মানুষ

ইয়েমেনের রাষ্ট্রপতি আবেদ্রাবো মানসোর হাদির থেকে শপথ নেওয়ার পরের দিন আদেনের উদ্দেশ্যে রওনা দেন মন্ত্রীসভার সদস্যরা। কোনোরকম দুর্ঘটনা এড়াতে মোতায়েন ছিল বিরাট নিরাপত্তা। তবুও কিভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটলা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

২০১৪ সালে হুথিরা সানা দখলের পরেই রিয়াদে উপস্থিত হন আবেদ্রাবো মানসোর হাদি। নতুন সরকারের বেশীরভাগ সদস্যরা রাষ্ট্রপতির সমর্থিত। এছাড়াও সরকারে সমর্থন জানায় এসটিসি অন্যান্য দলগুলি। গত পাঁচ বছর ধরে সেখানকার মানুষের ওপর নির্মম অত্যাচার চালায় হুথিরা। পরিস্থিতি মোতায়েন দিতে মার্কিন সেনার দ্বারস্থ হয় ইয়েমেন।

প্রধানমন্ত্রী মেইন জানিয়েছেন, অন্যান্য মন্ত্রকে বদল হলেও তিনিই প্রধানমন্ত্রী পদে থাকবেন।

সম্পর্কিত পোস্ট