সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ সৌমেন্দু

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে মামলাটি তোলা হয়। সেখানে সৌমেন্দুর আইনজীবীরা জানান, কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে সৌমেন্দু অধিকারীকে অপসারণ রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রনোদিত। আগামী ৪ জানুয়ারি আদালতে মামলার শুনানি চলবে বলে জানিয়েছেন সৌমেন্দ্যুর আইনজীবীরা।

এর আগে কাঁথি পুরসভার নির্বাচন নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। সেই ঘটনার সঙ্গে সংযুক্ত করে বলা হয় ভোট প্রক্রিয়া ছাড়াই সৌমেন্দুকে পুর প্রশাসকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। তাঁর পরিবর্তে অন্য একজনকে সেই প্রশাসক পদে আনা হল। এর পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। এদিন সৌমেন্দু অধিকারীর আইনজীবী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।

সৌমেন্দু অধিকারীকে অপসারণের কোনও গেজেট নোটিফিকেশন করা সম্ভব না হওয়ায় সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। আদালতের এই নির্দেশকে সামনে রেখেই প্রশ্নও তুলেছেন সৌমেন্দু অধিকারীর আইনজীবীরা। তাঁরা জানিয়েছেন গেজেট নোটিফিকেশন ছাড়াই কিভাবে শুধুমাত্র নোটিশের ভিত্তিতে সৌমেন্দু অধিকারীকে অপসারণ করে অন্য একজনকে সেই পদে আনা হল? যদিও মামলা শুনানি শুরু হলে দুই পক্ষের তরফে কি যুক্তি সামনে তোলা হয়, সেদিকে নজর থাকবে।

আরও পড়ুনঃ টেট পরীক্ষার দিন ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি জারি

গত ২৮ ডিসেম্বর রাজ্য সরকারের তরফে কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীকে অপসারিত করা হয়। অপসারণের চিঠিতে ছিল পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের স্বাক্ষর। নতুন প্রশাসক পদে আনা হয় সিদ্ধার্থ মাইতিকে। সৌমেন্দুকে অপসারণের পরেই ক্ষোভ উগড়ে দেন তৃণমূল সাংসদ এবং অধিকারী পরিবারের সদস্য দিব্যেন্দু অধিকারী। তিনি জানিয়েছিলেন, এর আগে প্রতিদিন কাঁথি পুরসভাতে তিনি বসতেন। এখন থেকে আর বসবেন না।

ঠিক তারই মধ্যে কয়েকদিন আগে বিজেপির একটি সভামঞ্চ থেকে অধিকারী পরিবারের নব্য বিজেপি সদস্য শুভেন্দু অধিকারী বলেন, তাঁর বাড়িতেও খুব শীঘ্রই পদ্ম ফোঁটাতে চলেছেন তিনি। সেই জল্পনা আরও একধাপ বাড়ে যখন অধিকারী বাসভবন শান্তিকুঞ্জে উপস্থিত হন পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় মাহাতো। কয়েকঘন্টা বৈঠকের পর বিজেপি সাংসদ বলেন, অধিকারী পরিবারের সঙ্গে সৌজন্যের সাক্ষাৎকার করলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সৌমেন্দু অধিকারী হাইকোর্টের উপস্থিতি রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

একইসঙ্গে এদিন নয়া পুর প্রশাসক পদে শপথ নিতে নতুন করে জটিলতার সম্মুখীন হন সিদ্ধার্থ মাইতি। পাঁচ দিনের জন্য থাকবেন না জানিয়েছিলেন সৌমেন্দু অধিকারী। কিন্তু সৌমেন্দু অধিকারীর অনুপস্থিতিতে পুরপ্রশাসক পদ হস্তান্তর সম্ভব নয় বলে পুরসভার তরফে জানানো হয়। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। পরে প্রশাসনের উপস্থিতিতে সেই প্রক্রিয়া সম্ভব হয়।

সম্পর্কিত পোস্ট