রাজ্যের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে ঘুঘুর বাসা ভাঙতে কঠোর নবান্ন

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক: রাজ্যের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে ঘুঘুর বাসা ভাঙতে এবার কঠোর পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী চার জেলার জেলা শাসকের কাছে বিএলআরও-দের কাজের ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন বলে নবান্ন সূত্রে খবর।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি পুরুলিয়া জেলা সফরে গিয়ে সেখানে বি এল আর ও দের সম্বন্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ শুনেছিলেন। এর পরেই জেলার দুই বি এল আর ও কে দ্রুত বদলি করা হয়। পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বি এল আর ও দের সম্বন্ধে বেশ কিছু গুরুতর অভিযোগ জমা পড়ে।

প্রশাসনিক সূত্রে খবর,মুখ্যমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশের পর কিছু দিন আগেই জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। বিশেষ আলোচনা হয়েছে বিএলআরওদের কাজ নিয়ে। ইতিমধ্যেই ৪ জেলাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা।

বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মৃত্যুতে ২ মিনিট নীরবতা পালনের পর মুলতুবি বিধানসভা

সূত্রের খবর সেই তালিকায় রয়েছে, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, জলপাইগুড়ি। এই ৪ জেলাতেই ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের কাজ নিয়ে অভিযোগ আছে বলে জানা গিয়েছে। এই সব জেলার ভূমি সংস্কার দফতরের কাজের বিস্তারিত তথ্য তলব করা হয়েছে।

নবান্নের তরফে বলা হয়েছে, এই সব জেলার বিএলআরওদের কাজ ঠিক্টহাক পদ্ধতিতে হচ্ছে না। তাঁদের নিজেদের কাজ নিয়ে যথেষ্ট ওয়াকিবহল থাকতে হবে। একাংশের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের কাজ সরল করে দিয়েছেন তবে তা একাংশের আধিকারিক ও কর্মীদের গ্রহঠেলা মানসিকতার জন্য বাস্তবায়িত হচ্ছে না।

তাঁদের দাবি, এই দফতরে রাজস্ব আসে বিপুল তবে তা একাংশের আত্মসাতের জন্য শেষ হয়ে যায়। একাংশের দাবি, রাজস্ব না ঢোকা এবং কয়েকজনের ভুল কাজের জন্য সরকারের ক্ষতি হয়। জনমানসে ভুল প্রভাব পড়ে। তাই কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে নবান্ন। সূত্রের খবর, সাধারণ মানুষের জন্যই নবান্ন এই পদক্ষেপ নিয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট