সীমান্তে তালিবান জঙ্গিদের অট্টহাসি, কাঁপছে তাজিকিস্তান সরকার, তৈরি রুশ সেনা
দ্য কোয়ারি ডেস্ক: তখন সোভিয়েত জমানা শেষ হয়ে গেছে। রুশ বলশেভিক পার্টির (কমিউনিস্ট) লাল পতাকার একনায়কত্ব শেষ। সেই সময়েই সোভিয়েত অনুরাগী আফগান প্রেসিডেন্ট নাজিবুল্লা কে প্রকাশ্যে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছিল তালিবান জঙ্গিরা। আফগানিস্তান চলে গেছিল তালিবান জঙ্গি সরকারের দখলে।
নব্বই দশকে সোভিয়েত লাল ফৌজ সরে যাওয়া আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে মার্কিন সেনার সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের মাঝে ভয়ঙ্কর জঙ্গি সরকার ফের কাবুল দখল করার আশঙ্কা প্রবল।
আশঙ্কা সত্যি করেই এবার তাজিকিস্তান সীমান্তের স্থলবন্দর দখল করে নিল তালিবান। আফগানিস্তানের কুন্দুজ প্রদেশের শের খান স্থলবন্দরটি এখন সরকারের হাতছাড়া। বন্দরের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে আফগান সরকারের। দৈনিক ২.৫ মিলিয়ন আফগানি বা ৩২ হাজার মার্কিন ডলারের বেশি রাজস্ব শূন্য হয়ে গেল।
শের খান স্থলবন্দরটির গায়েই তাজিকিস্তান সীমান্ত। সে দেশের মধ্যে সাময়িক আশ্রয় নিয়েছেন পলাতক আফগানি সেনা সদস্যরা। যদিও বন্দর ঘিরে আফগান ও তানিবান দু পক্ষের গুলির লড়াই চলেছে। তবে বন্দরের দখল এখন জঙ্গিদের হাতে।
বোরখা ফেলে আফগানি নারীরা নিলেন A K 47, তালিবান খতম করার কসম
পূর্বতন সোভিয়েতের অঙ্গপ্রদেশ বর্তমান তাজিকিস্তান সরকার প্রবল আতঙ্কিত। সীমান্তের কাছেই অট্টহাসি করছে তালিবান জঙ্গিরা। তাজিক সেনা প্রস্তুত তাদের হামলা রুখতে। তবে তাদের মলোবলেও চিড়ি ধরছে। এই অবস্থায় রাশিয়া সরকারের ভূমিকা সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ।
রুশ সংবাদ সংস্থা তাস জানাচ্ছে, তাজিকিস্তান সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেই রুশ সেনা বাহিনি মোতায়েন করা হবে আফগান-তাজিকিস্তান সীমান্তে। তবে সবই হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অবস্থান বিচার করে। তবে ক্রেমলিন ইঙ্গিত দিয়েছে, তাজিকিস্তান সরকারকে সাহায্য করতে রুশ সেনা ভূমিকা নেবে।
আফগানিস্তান ও তাজিকিস্তান সীমান্তে মতো উদ্বেগ ছড়িয়েছে ইরানেও। সে দেশের সঙ্গে আফগানিস্তানের সীমান্ত রয়েছে। ইরান সরকারও সীমান্তে তাদের বিশেষ বাহিনি মোতায়েন করেছে।